>পল কলিংউড সেই কবেই অবসরে গেছেন। অনেক দিন ধরেই তিনি ইংল্যান্ড দলের কোচিং স্টাফের অংশ। কিন্তু কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনিই মাঠে নেমেছিলেন ফিল্ডার হিসেবে! কেন? বিশ্বকাপের আগে নাকি চোটে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন ইংলিশ ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে অতটা ভাবনা নেই ইংল্যান্ডের। এউইন মরগানদের দুশ্চিন্তা বলে যদি কিছু থেকে থাকে সেটি চোট নিয়ে। কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পেয়েছেন দুই পেসার মার্ক উড ও জফরা আর্চার। এ দুই পেসারই ঘণ্টায় ন্যূনতম ৯০ মাইল গতিতে বল করতে পারেন। এমন পেসারদের চোট সত্যিই ভাবনার। তাই প্রস্তুতি ম্যাচে কোনো ঝুঁকি নেয়নি ইংল্যান্ড। সাবধানতা হিসেবেই মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় দুই পেসারকে। আর এই চোটের কারণেই দীর্ঘ আট বছর পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে জার্সিতে পল কলিংউডকে দেখা গেল মাঠে!
সাবেক এ অলরাউন্ডার ইংল্যান্ডের হয়ে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন দুই বছর আগে। সেটি ছিল টি-টোয়েন্টি। ২০১১ সালে বাকি দুই সংস্করণকে বিদায় বলে দেন ১৯৭ ওয়ানডে খেলা সাবেক এ অধিনায়ক। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্য ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নেওয়া কলিংউড এখন আছেন ইংল্যান্ডের সহকারী কোচের দায়িত্বে। কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ফিল্ডিং করতে মাঠে নেমেছিলেন ৪৩ বছর বয়সী এ কোচ।
আঙুলে চোটের জন্য অধিনায়ক মরগান ম্যাচটা খেলেননি। কাঁধে চোট পাওয়ায় লেগ স্পিনার আদিল রশিদও ছিলেন বিশ্রামে। আর দাদার মৃত্যুর কারণে ছুটিতে ছিলেন জো রুট। এতে প্রস্তুতি ম্যাচে ফিল্ডিং সাজাতেই হিমশিম খাচ্ছিল ইংল্যান্ড—যে কারণে মাঠে নামতে বাধ্য কলিংউড। নিজের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান পেসার মার্ক উড। তাঁর জায়গায় আর্চারের ফিল্ডিং করতে নামার সিদ্ধান্ত অবাক করেছিল অনেককেই। কারণ চোটের শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হয়েছে। সীমানায় ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে উঠে যান এ পেসার। তাঁর বদলি ফিল্ডার হিসেব জো রুট নামলেও পরে আবার মাঠে ফিরেছিলেন আর্চার।
ফিল্ডারদের এ আসা-যাওয়ার মধ্যে উডের জার্সি পরে দুই দফা মাঠে নেমেছিলেন কলিংউডও। ফিল্ডিং করেছেন কভার অঞ্চলে। তাঁর ফিটনেস ও ফিল্ডিংয়ে ক্ষিপ্রতা মনে করিয়ে দেবে সেই পুরোনো কলিংউডকে। তবে ইংলিশ সমর্থকদের এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। দলে চোট সমস্যা হানা দেওয়ায় দুশ্চিন্তা ভর করেছে ইংলিশ শিবিরে। বাঁ হাতি স্পিনার লিয়াম ডসনও ডান হাতের আঙুলে চোট পেয়েছেন।
উডের চোট স্ক্যান করিয়ে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে উডকে নিয়ে তেমন চিন্তার কিছু নেই। যেমনটা নেই আর্চারের ব্যথা পাওয়া নিয়েও। তবে ছোটখাটো এসব চোট ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পারফর্ম করতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ইংলিশদের জন্য। নতুন বলের পেসার ক্রিস ওকস যেমন কাল প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে। হাঁটুর পুরোনো ব্যথাটা না সারায় বল করার ঝুঁকি নেননি তিনি।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বকাপে প্রতিটি দল তাঁদের ১৫জনের স্কোয়াডের বাইরে থেকে বদলি ফিল্ডার নিতে পারবে না। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে এ নিয়ম খাটে না। সে কারণে ফিল্ডিংয়ে নামতে পেরেছেন কলিংউড।