>এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশ ফিরেছে চোটাঘাত নিয়ে। পাঁচ সিনিয়র খেলোয়াড়ের দুজন নেই। বাকি তিনজন জিম্বাবুয়ে সিরিজে থাকলেও চোট যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। চোট সামলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে কী সমন্বয় নিয়ে নামছেন মাশরাফিরা?
এশিয়া কাপ থেকে ফিরেছে চোটজর্জর এক বাংলাদেশ। চোটে পড়েছেন দলের পাঁচ সিনিয়র খেলোয়াড়। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল তো আগ থেকেই নেই। বাকি তিনজন জিম্বাবুয়ে সিরিজে থাকলেও খুব একটা স্বস্তি কিন্তু পাচ্ছে না দল।
আজ সংবাদ সম্মেলনে দলের চোটে পড়া খেলোয়াড়দের ‘আপডেট’ দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়কের কথায় জানা গেল, পাঁজরে ব্যথা পাওয়া মুশফিকুর রহিম অনেকটাই ফিট। তবে চিন্তা রুবেল হোসেনকে নিয়ে। তীব্র জ্বর নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে। আজ বিকেলে রুবেল টিম হোটেলে উঠেছেন, কিন্তু তাঁকে নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। ফিটনেস সমস্যা তো আছেই, রুবেল গত কদিনে ঠিকঠাক অনুশীলনও করতে পারেননি। রুবেলকে নিয়ে মাশরাফি বললেন, ‘ওর গায়ে জ্বর ছিল, অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছে। বিষয়টা ফিজিও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’ রুবেল যদি না-ই খেলেন তৃতীয় পেসার হিসেবে সাইফউদ্দিনকে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
চিন্তা আছে অধিনায়ককে নিয়েও। এশিয়া কাপে পাওয়া কনিষ্ঠ আঙুলে চোট পেয়েছিলেন। সে চোট চিড় আছে। ব্যথা পুরোপুরি সারেওনি। এশিয়া কাপে ব্যথা পেয়েছিলেন ঊরুতেও। আঙুল কিংবা ঊরু নয়, মাশরাফিকে নতুন করে ভোগাচ্ছে কুঁচকির ব্যথা। অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্ট আশাবাদী, এ চোট গুরুতর নয়, সিরিজের প্রথম ওয়ানডে থেকেই খেলবেন মাশরাফি।
চোট নিয়ে মাশরাফি নিজেও খুব একটা ভাবতে চান না, ‘আমি একটা সংস্করণে খেলি। আমাকে ওভাবেই মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হয়। টুকটাক সমস্যা হলেও খেলি। পরের সিরিজের প্রস্তুতি নিতে হয় বর্তমান সিরিজ খেলে। অন্যদের ক্ষেত্রে যেটা হয়, তারা সব ফরমেটে খেলে। কেউ যদি টিমে না থাকে সে চার দিনের ম্যাচও খেলতে পারবে। যেটা আমার ক্ষেত্রে হয় না। আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও অনুশীলনের ওপর নির্ভর করতে হয়। আল্লাহর রহমতে ভালোর দিকে আছি।’
চোটের চিন্তাটা সরিয়ে রাখলে কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ফাইনালের সমন্বয়টাই দেখার সম্ভাবনা বেশি। তিন পেসার ও দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে খেলছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও এ ধারায় বদল আনার পক্ষে নন মাশরাফি। এই সিরিজ নতুন খেলোয়াড়দের দেখে নেওয়ারও সুযোগ। সেটির বাস্তবায়ন কি কাল থেকেই শুরু? যদি তা-ই হয়, বাংলাদেশের ১২৯তম ক্রিকেটার হিসেবে ফজলে রাব্বির মাথায় উঠতে পারে ওয়ানডের টুপি।
রাব্বিকে সুযোগ দিলে এক ম্যাচের জন্য নয়, টিম ম্যানেজমেন্ট চায় তাঁকে টানা খেলাতে। এক-দুই ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের প্রকৃত চিত্রটা বোঝা যায় না। মাশরাফির প্রত্যাশা, রাব্বি যদি সুযোগ পেয়ে এক-দুই ম্যাচে ব্যর্থ হন, তাঁকে যেন একটু সময় দেওয়া হয়,'যাকে আমরা দেখতে চাই তাকে আপনারাও সুযোগ দেবেন আশা করি। সাধারণ মানুষ যেন সুযোগ দেয়। সে ঘরোয়া ক্রিকেটে যেটা করেছে সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এতটা সহজে হবে না। ফজলে রাব্বি কালও (বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে) কিছুটা হলেও স্নায়ুচাপে ভুগেছে। ওকে থিতু হতে কিছুটা সময় দিতে হবে। সবাইকে এ ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে হবে।'