৬৭ বছর আগে এমন এক কীর্তি গড়েছিলেন ভাওসাহেব বাবাসাহেব নিম্বলকার, যা এখনো ভাঙা যায়নি। ভারতের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একমাত্র ৪০০ রানের ইনিংসের মালিক তিনি। ১৯৪৮-৪৯ রঞ্জি ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের হয়ে ৪৪৩ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন নিম্বলকার। ম্যাচের তৃতীয় দিনে কাটিহার দলপতি হার স্বীকার করে নেওয়ায় সেখানেই থামতে হয় তাঁকে। নিম্বলকারের সেই গৌরবের কিংবা কাটিহার অধিনায়কের ৬৭ তম বর্ষপূর্তি আজ। ১৮ ডিসেম্বর তারিখটিতেই যে প্রথম ভারতীয় হিসেবে চার শ করেছিলেন নিম্বলকার।
মহারাষ্ট্র বনাম কাটিহারের ম্যাচটি শুরু হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। মজার ব্যাপার হচ্ছে এর ঠিক ২১ বছর আগে ভিক্টোরিয়া বনাম কুইন্সল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটিও শুরু হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। ভ্রু কুঁচকে উঠছে খানিকটা? হুট করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট নিয়ে কথাবার্তা শুরু হলো কেন? কারণ চার শ কিংবা তার চেয়ে বেশি রানের ইনিংসে নিম্বলকারের পরে আছে যেটি সেই ৪৩৭ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন বিল পন্সফোর্ড ওই ম্যাচটিতেই।
১৯২৭ সালে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষের ওই ম্যাচে ভিক্টোরিয়ানদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান নিয়েছিলেন স্টোর্ক হেন্ডরি, ১২৯। তারপরও ৭৯৩ রানের পাহাড় গড়েছিল স্বাগতিক দল। কারণ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পন্সফোর্ড যে রান নেওয়ার দায়িত্ব পুরোটাই নিয়ে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। দুদিন মিলে ৬২১ মিনিট খেলে ৪৩৭ রান করেছিলেন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বিশ্ব রেকর্ড। তিনি অবশ্য চার শ ছুঁয়েছিলেন ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই, ১৭ ডিসেম্বর। নিম্বলকারের ১ দিন আগে। ভাবা যায়, টানা দুদিনে দুটি চার শ রানের ইনিংস। যেখানে ইতিহাসেই চার শ ছাড়ানো ইনিংস আছে মাত্র দশটি।
ওহ্, পন্সফোর্ড কিন্তু সেদিন নিজের রেকর্ডই ভেঙেছিলেন। চার বছর আগে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ৪২৯ রানের ইনিংসটি খেলেই প্রথম রেকর্ড করেছিলেন এই রান মেশিন। এক ব্যাটসম্যানই করলেন দুইবার চার শ রান। ব্রায়ান লারার আগে অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই যা আর করে দেখাতে পারেননি।
নিম্বলকার চার শ ছাড়ানো ইনিংস খেলেও টেস্ট খেলতে পারেননি, কিন্তু পন্সফোর্ড তাঁর প্রতিভা টেস্টেও দেখিয়েছেন। ২৯ টেস্টে ৭টি সেঞ্চুরি ও ৪৮.২২ গড় তাঁর প্রতিভা পুরোটা বোঝাতে না পারলেও একটা তথ্য তাঁর চরিত্র বোঝাতে যথেষ্ট। টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ ২৬৬ রানের ইনিংসটি পন্সফোর্ড খেলেছিলেন ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেই।