একদিন আগেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল সবুজে মোড়ানো। আউটফিল্ড থেকে উইকেট আলাদা করা কঠিনই ছিল।
আজ ঘাস কিছুটা ছেঁটে ফেলা হয়েছে। কাল চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগেও হয়তো আরেক দফা ছাঁটাই হবে মাঠের ঘাস। তাতে উইকেটের চরিত্র ব্যাটিং সহায়কই হওয়ার কথা।
টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেটে প্রচুর রান দেখছেন। আজ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক উইকেটই হয়। এবারও মনে হচ্ছে ব্যাটিং উইকেটই হবে।’ তবু বাংলাদেশ দলের অবশ্য একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলার সম্ভাবনা বেশি।
সাকিব আল হাসান না থাকায় বাংলাদেশ দলকে সাধারণত চার বোলার সাত ব্যাটসম্যান—এই সমন্বয়ে খেলতে দেখা যায়। চট্টগ্রাম টেস্টেও বাংলাদেশ দলের সমন্বয়টা এমনই হওয়ার কথা।
প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক বাবর আজম অবশ্য চট্টগ্রামের উইকেটের ব্যাপারে কিছুটা ধোঁয়াশায় আছেন। বাবরের ধোঁয়াশার কারণ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটের ঘাস। সংবাদ সম্মেলনে উইকেটের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘পিচ দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে সাধারণত যেমন উইকেট থাকে, এবারও তেমনই থাকবে। গতকাল যা দেখলাম, তাতে ঘাস ছিল কিছুটা। আজ আবার গিয়ে দেখব কী অবস্থা।’
তবে উইকেট যেমনই হোক, পাকিস্তান দলে মানিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট বোলার আছে। তিনি বলেছেন, ‘এখানে স্পিনাররা সাহায্য পায়, পেসারদেরও সহায়তা মেলে শুরুতে। আমার মতে তা–ই, কন্ডিশন যতটা কাজে লাগাতে পারব, আমাদের জন্য ততটা ভালো।’
চেনা কন্ডিশনের সুবিধাটা বাংলাদেশ দলও নিতে চাইবে। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরি মুমিনুলের বাংলাদেশ দলকে এ ক্ষেত্রে সমীহ করছে বাবররা। তিনি বলেছেন, ‘পার্থক্য এখানে কন্ডিশন। ওদের ঘরের মাঠ, নিজেদের কন্ডিশন। ওদের কখনোই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। কোনো দলকেই আসলে হালকা করে নেওয়ার সুযোগ নেই। ওদের কয়েকজন ক্রিকেটার নেই, দলটা তরুণ। তবে যারা আছে, এই কন্ডিশনেই তো খেলে। কাজটা তাই কঠিনই হবে (আমাদের জন্য)। কন্ডিশন বুঝতে তাই একটু সময় লাগে, বুঝতে হয় কিছুটা। ওরা অবশ্যই আমাদের কঠিন সময় দিতে পারে।’