>ইউনিস খানকে ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার। কোচকে ছুরি নিয়ে মারতে গিয়েছিলেন ইউনিস
কোচিং করোনাটা সহজ নয়! শিষ্য যদি আবার গুরুর চেয়ে বেশি মেধাবী হয় তাহলে কাজটা হয়ে যায় আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজ করতেই গিয়েই কী বিপদেই না পড়েছিলেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ থাকার সময় একদিন ইউনিস খানকে ব্যাটিং নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন ফ্লাওয়ার ভাইদের ছোটজন। উপদেশ শুনে খেপে গিয়ে ইউনিস নাকি গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের গলায় ছুরি ঠেকিয়েছিলেন।
২০১৪ থেকে ২০১৯—এই পাঁচ বছর পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ ছিলেন গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ফলোয়িং অন ক্রিকেট পডকাস্ট নামের এক অনুষ্ঠানে ভাই অ্যান্ডির সঙ্গে কথা বলছিলেন গ্র্যান্ট। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যেসব শিষ্যকে সামলাতে কষ্ট করতে হয়েছে তাঁদের নিয়ে কিছু বলতে। গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ভাবতে বেশি সময় নেননি, ঝটপটই তুলে এনেছেন টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা ইউনিস খানের সেই ঘটনার কথা।
২০১৬ সালের পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ের কথা এটি। ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় থাকা ইউনিস ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউটের পর দিন সকালে নাশতা খাওয়ার সময় অ্যান্ডি পরামর্শ দিতে গিয়েছিলেন। কী হয়েছিল তারপর শুনি গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের মুখেই, ‘ইউনিসকে সামলানো মুশকিল ছিল। কোনো সন্দেহ নেই দুর্দান্ত ক্যারিয়ার তাঁর, পরিসংখ্যানের হিসেবে আমার সঙ্গে তাঁর কোনো তুলনাই চলে না। পাকিস্তানের ইতিহাসে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান তাঁর। ব্রিসবেনের একটা ঘটনা মনে পড়ছে। টেস্ট চলাকালে নাশতার টেবিলে তাঁকে ব্যাটিং নিয়ে কিছু উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু সে আামার উপদেশকে ভালোভাবে নেই নি। উল্টো মিকি আর্থারের (প্রধান কোচ) সামনেই টেবিল থেকে ছুরি নিয়ে আমার গলায় ধরল। মিকির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়।
গ্র্যান্ট অবশ্য বললেন কোচিং করাতে গেলে এমন ঝামেলা একটু-আধটু পোহাতেই হয়, ‘এগুলো অবশ্য কোচিংয়ের অংশ। পথটা খুব কঠিন, তবে আমি উপভোগ করেছি। আমার এখনো কত কিছু শেখার আছে। তবে এখন যে অবস্থানে আছি তাতে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারি।’
খেপে গেলেও ইউনিস সম্ভবত গ্র্যান্টের উপদেশ শুনেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রান করার পর সিডনি সিরিজের শেষ টেস্টে অপরাজিত ১৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন ইউনিস।