আগামীকাল শুরু হচ্ছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গুয়াহাটির ভূপেন হাজারিকা স্টেডিয়ামের এ ম্যাচ নিয়ে বেশ উত্তেজিত আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। তবে নিজেদের উত্তেজনা সমর্থকদের মধ্যে ছড়াতে নারাজ তারা। এ কারণে আগামীকাল মাঠে যেকোনো ধরনের পোস্টার নেওয়া নিষিদ্ধ করেছে এসিএ। শুধু পোস্টার নয়, ব্যানার বা বার্তাসংবলিত কাগজ নেওয়া নিষিদ্ধ করেছে তারা। এমনকি ক্রিকেট মাঠের অতি পরিচিত ‘চার’ এবং ‘ছক্কা’ প্ল্যাকার্ডও কাল মাঠে নিতে দেওয়া হবে না।
এসিএ দাবি করেছে, এ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিতর্কিত আইনটি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ আসামের মানুষ। এ নিয়ে বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে আসামে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসিএর সাধারণ সম্পাদক দেবজিত সাইকিয়া জানিয়েছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নয়, অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বিজ্ঞাপন দেখাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতেই এটা করা হয়েছে। গতকাল গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার এমপি গুপ্তকে পাশে নিয়ে এ কথাই জানিয়েছেন সাইকিয়া।
সাইকিয়া ২০১৭ সালে গুয়াহাটিতে এক ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার বাসে ঢিল ছোড়ার ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। এ কারণেই নাকি নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছেন তাঁরা, ‘সবাই এ নিয়ে চিন্তিত, শুধু আসামের মানুষ নয়। এটা আন্তর্জাতিক একটা ব্যাপার এবং কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে (অস্ট্রেলিয়ার মতো যেন কিছু না হয়)।’ আর পোস্টার ও ব্যানারের ব্যাপারে সাইকিয়া বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও একটি বেভারেজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়াতেই প্ল্যাকার্ড নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসিএকে নাকি এক সপ্তাহ আগেই এটা জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা অবশ্য জানিয়েছেন ‘৪’ ও ‘৬’প্ল্যাকার্ড সিরিজের স্পনসররা দেয় এবং বোর্ড প্ল্যাকার্ডের নিষিদ্ধের ব্যাপারে কিছু জানে না। তিনি এও জানিয়েছেন, ‘বিসিসিআই এ ব্যাপারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যা বলবে, তার পক্ষেই থাকবে।’ এদিকে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি মামুন মজুমদার আশা করছেন ৩৯ হাজার দর্শক সবাই ‘খুব ভালো আচরণ দেখাবেন কারণ বাইরের মানুষ , অন্য রাজ্যের মানুষ তাঁদের দেখবেন এবং বলবেন দর্শকেরা সবাই ভালো আচরণ করেন।’