>অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি দিবারাত্রির। প্রথম দিনে ১ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া
দিবা রাত্রির ম্যাচ, তার ওপরে সন্ধ্যার আগে বৃষ্টির হানা। পেস বোলারদের জন্য লোভনীয় এক কন্ডিশনই বলা যায়। তিনজন পেসার সমৃদ্ধ পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের চোখে অন্ধকারই দেখার কথা! কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। ডেভিড ওয়ার্নার আর মারনাস লাবুশেনের ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের বোলাররা। অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্টে চোখে অন্ধকারই দেখছে পাকিস্তান দল!
অ্যাডিলেডে কাল বৃষ্টির কারণে খেলা হতে পেরেছে ৭৩ ওভার। এর মধ্যেই ১ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান তুলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ১৬৬ রানে উইকেটে আছেন। তাঁর সঙ্গী লাবুশেনের রান ১২৬। দলের ৮ রানে জো বার্নস আউট হয়ে ফিরেছেন মাত্র ৪ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার যে একমাত্র উইকেট পড়েছে সেটি নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। ১৮ ওভারে ৪৮ রান দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অন্ধকার দেখেছেন এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ মুসা! ১৩ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ৭১, ইকোনোমি ৫.৪৬। আরেক পেসার মোহাম্মদ আব্বাস ১৯ ওভারে দিয়েছেন ৫৬ রান।
বার্নস আউট হওয়ার পর জুটি বাঁধেন ওয়ার্নার-লাবুশেন। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওয়ার্নার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে। ফেরার সিরিজটা খুবই বাজে কেটেছে তাঁর। ১০ ইনিংসে করেছিলেন ৯৫ রান। সেই রান-খরা ব্রিসবেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ১৫৪ রান করেই কাটিয়েছেন। সেঞ্চুরি পেয়েছেন কাল অ্যাডিলেডেও। ২২৮ বলে অপরাজিত ১৬৬ রানের ইনিংস খেলার পথে মেরেছেন ১৯টি চার। টানা দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন লাবুশেনও। ব্রিসবেনে ১১ টেস্টের ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি তাঁর এই দুটিই। ২০৫ বলে ১২৬ রানের ইনিংসটিতে চার মেরেছেন ১৭টি। ওয়ার্নার-লাবুশেনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিটি অবিচ্ছিন্ন ২৯৪ রানের।
শুধু বোলাররাই নন, অ্যাডিলেডে কাল চোখে অন্ধকার দেখেছেন পাকিস্তানের ফিল্ডাররাও। এখানে এগিয়ে অবশ্য আফ্রিদি। ওয়ার্নার তখন ৪৭ রানে। মোহাম্মদ আব্বাসের বল ফাইন লেগের দিকে ঠেলে দিয়েই ছুটেছেন ওয়ার্নার। ফিল্ডার আফ্রিদি মনোযোগী থাকলে এক রানের বেশি হওয়ার কথা নয়। আফ্রিদির অপ্রস্তুত থাকার সুযোগ নিয়ে দুই রান নিয়েছেন ওয়ার্নার। প্রাথমিক আলস্যের দাম চুকাতে তড়িঘড়ি করে জোরে থ্রো করেছিলেন আফ্রিদি। আর সে বল ইয়াসির শাহ ও শান মাসুদের ঠিক মাঝে পড়ে সীমানা পার! ৬ রান পেয়ে যান ওয়ার্নার। এমন ভুলভাল ফিল্ডিং আফ্রিদি পরে আরও করেছেন।