২০১২ সালে শেষবারের মতো ভারত সফর করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আর সেই সফরই নাকি নির্ধারিত করে দিয়েছিল ভারতের হয়ে গৌতম গম্ভীরের ক্যারিয়ার! এমনই ভাবনা পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ ইরফানের। ৭ ফুট এক ইঞ্চি উচ্চতার এই পেসার হালে জাতীয় নির্বাচকদের ভাবনার বাইরে চলে গেলেও একটা সময় তিনি কিন্তু ঝড় তুলেছিলেন নিজের উচ্চতা দিয়ে।
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরফান জানিয়েছেন ২০১২ সালের সিরিজে গম্ভীরকে তিনি চারবার ফিরিয়েই তাঁর ক্যারিয়ার হুমকির মুখে ফেলেছিলেন। সে সিরিজের পর একটি ওয়ানডে খেলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী তারকার ক্যারিয়ার।
গম্ভীর ইদানীং টুইটারে বেশ সরব। সেটি তিনি হতেই পারেন। তবে তাঁর টুইটগুলোর লক্ষ্যবস্তু পাকিস্তান। ভারতের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির টিকিটে দিল্লির একটি আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন গম্ভীর। টুইটে অনেকবারই তিনি পাকিস্তানকে নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন। তিনি সমালোচনা করেছেন ইমরান খানের। ব্যঙ্গ করেছেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলকে দেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থারও। সব মিলিয়ে ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটারের ওপর স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানিরা। ইরফানও তাঁর সাক্ষাৎকারে গম্ভীরের ওপর নিজের ‘ঝাল’ মিটিয়েছেন, ‘গম্ভীর সে সিরিজে আমার বল খেলতে খুব ভয় পাচ্ছিল। আমি তাঁকে চারবার আউট করেছিলাম। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছিল যে নেট অনুশীলনের সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হলে সে চোখ ফিরিয়ে নিত।’
ইরফান জানিয়েছেন বিরাট কোহলির কাছ থেকেও তিনি সমীহ আদায় করতে পেরেছিলেন, ‘কোহলি আমাকে বলেছিল, যে সে ঠিকমতো আমার বল খেলতে পারছে না। সে মনে করেছিল আমি ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার বেগে বোলিং করব। কিন্তু আমি বোলিং করেছিলাম ১৪৫ কিলোমিটার বেগে। আমাকে খেলতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। একবার সে আমাকে পুল করতে গিয়ে বেঁচে যায়। সে সময় যুবরাজ সিং পাঞ্জাবি ভাষায় কোহলিকে বলেন, ওকে পুল করতে যেও না বরং ওর বলে কাট খেল।’
পাকিস্তানের হয়ে ৪ টেস্ট, ৬০ ওয়ানডে আর ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ইরফান। ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট-সংখ্যা ৮৩টি। ২০১০ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ খেলেছেন ২০১৬ সালে।