দারুণ এক জয়ই পেল খুলনা টাইটানস। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থেকে কোয়ালিফাইয়ারসে খেলতে জয়ই ছিল একমাত্র উপায়, মাহমুদউল্লাহর দল সেটি অর্জন করেছে শীর্ষ স্থানে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ১৪ রানে হারিয়ে। প্রথমে ব্যাট করে খুলনার ৬ উইকেটে ১৭৪ রানকে তাড়া করে কুমিল্লার ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৬০ রান করে।
খুলনার ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নাজমুল হোসেন ও আরিফুল হক। নাজমুল করেছেন ৩৭, আরিফুল ৩৫। দুজনেই ২১ বলে নিজেদের ইনিংস সাজান। আরিফুল আর কার্লোস ব্রাফেটের শেষের দিকের ঝড়েই খুলনার সংগ্রহ ১৭৪-এ পৌঁছায়।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাও দারুণ করেছিল খুলনা। নাজমুল আর ক্লিঙ্গার কুমিল্লার বোলারদের বেশ ভোগাচ্ছিলেন। নাজমুল ২১ বলে ৩৭ করে ফিরলে দ্রুতই ফেরেন ক্লিঙ্গার। পরে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আর নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা আরও জোরে ঘোরাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। পুরান দ্রুতই ফেরেন। মাহমুদউল্লাহও ২৩ বলে ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। এমন একটা পরিস্থিতিতে আরিফুলের সঙ্গে ব্রাফেটের জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আরিফুল ২১ বলে ৩৫ রান করলেও ব্রাফেট ১২ বলে ২২ রান করে কুমিল্লার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এই ম্যাচে খুলনার নায়ক খুঁজে বের করা মুশকিল হলেও আরিফুলের ইনিংসটিকেই বিচারকদের দৃষ্টিতে ‘সেরা’ মনে হয়েছে। এবারের বিপিএলে ধারাবাহিকভাবেই ভালো করছেন আরিফুল। মাহেলা জয়াবর্ধনের শিষ্য হয়ে নিজেকে দারুণভাবেই গড়ে নিচ্ছেন দেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান।
১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যে ধরনের ‘শুরু’র প্রয়োজন ছিল, সেটি করতে পারেনি কুমিল্লা। শুরুতেই আউট হন সলোমন মির। তবে তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস পাল্টা লড়াই শুরু করেছিলেন। একটা জুটি দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইমরুল ২০ আর তামিম ৩৬ রানে ফিরলে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। ইংলিশ তারকা জস বাটলারও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। পরে অবশ্য শোয়েব মালিক ও মারলন স্যামুয়েলস জুটি চেষ্টা করেছিলেন দাঁতে দাঁত চেপেই। মালিক ২৩ বলে ৩৬ আর স্যামুয়েলস ১৬ বলে ২৫ করে আউট হন। এই জুটি আরও একটু থাকলেই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত কুমিল্লা। শেষ দিকে রকিবুল হাসান ৯ বলে ১৭ রান করলেও সেটি ব্যবধানই কমিয়েছে। খুলনার পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ ও বেনি হাওয়েল। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, কার্লোস ব্রাফেট ও মোহাম্মদ ইরফান।