বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।

ক্রিকেটাররা কেবল টাকার জন্যই খেলে না: সৌরভ

ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার কি এখন আইপিএল? দেশের হয়ে খেলার গর্ব কি তাঁদের এখনো টানে? হালে অবস্থাদৃষ্টে এমন প্রশ্ন ওঠাই হয়তো স্বাভাবিক। অনেক তারকা ক্রিকেটারই আইপিএলের সময় নির্দ্বিধায় জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান, এ নিয়ে সমালোচনা হয় বিস্তর। কিন্তু ক্রিকেটারদের এ নিয়ে তেমন কিছু আসে-যায় বলে মনে হয় না। তাই প্রশ্ন ওঠে, ক্রিকেটাররা কি আসলেই টাকার কাছে বিক্রীত?

সৌরভ গাঙ্গুলী অবশ্য সেটি মনে করেন না। ক্রিকেটাররা টাকার জন্যই খেলে, এ বিষয়টিই তিনি বিশ্বাস করেন না। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য খুব পরিষ্কার, ক্রিকেটাররা খেলে নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য, নিজেদের পারফরম্যান্সকে একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। দেশের হয়ে খেলা অবশ্যই ক্রিকেটারদের কাছে গৌরবের বিষয় বলেও মনে করেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক ও বর্তমানে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি।

আইপিএলের সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি হয়েছেন ৪৮ হাজার কোটি রুপিতে

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এ ব্যাপারে সৌরভ বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের সঙ্গে সব সময়ই অর্থ সংশ্লিষ্ট নয়। না হলে সুনীল গাভাস্কার, রাহুল দ্রাবিড় কিংবা অনিল কুম্বলেদের জন্ম হতো না। গাভাস্কাররা, দ্রাবিড়, কুম্বলেরা তাঁদের সময়ে বর্তমান ক্রিকেটারদের চেয়ে অনেক কম পারিশ্রমিক পেতেন। কিন্তু ভারতের হয়ে খেলাটা ছিল তাঁদের কাছে বড় গৌরবের বিষয়। তাঁরা ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব উপভোগ করতেন। আমি মনে করি না ক্রিকেটাররা কেবল অর্থের জন্য খেলে। প্রত্যেক ক্রিকেটারই দেশের হয়ে বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জিততে চায়।’

এই তো মাত্রই আইপিএলের সম্প্রচারস্বত্ব রেকর্ড পরিমাণ অর্থে বিক্রি করেছে বিসিসিআই। টাকার অঙ্কটা ৪৮ হাজার কোটি রুপির বেশি। আগামী পাঁচ বছরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগার যে ফুলেফেঁপে উঠবে, এটা তো নিশ্চিতই। এর পেছনে অবশ্য বিসিসিআইয়ের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারই সুফল দেখেন সৌরভ, ‘সম্প্রচারস্বত্ব নিয়ে দুই বছর ধরে আমরা পরিকল্পনা করেছি। সেটি দারুণভাবে সাজানো হয়েছিল। এ বছরটা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো বছর গেল। ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে ফিরেছে। আমরা সেটা শেষ করেছি। আইপিএলও দারুণভাবে আয়োজিত হয়েছে। মাঠে দর্শক ফিরেছে। এরপর এই সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি।’