>সাকিব আল হাসানকে বড্ড মিস করছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরে দলের শক্তি অর্ধেক কমে গেছে চোটের কারণে সাকিবের অনুপস্থিতি। সফরে এখনো দুটি টেস্ট বাকি। চোট থেকে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খেলতে পারেন ক্রাইস্টচার্চের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট
নিউজিল্যান্ডে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে অসহায় আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে। হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্টে তামিম, সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং-বীরত্ব সত্ত্বেও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে দল। অবস্থা দেখে বাংলাদেশের দীর্ঘশ্বাস তো পড়ছেই, ‘সাকিব যদি থাকতেন...।’ সফরের শেষ টেস্টে সাকিব আল হাসান ফিরতে পারেন, এমন একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে কয়েক দিন ধরেই। সে বিষয়ে নিশ্চিত খবর পাওয়া যেতে পারে আজ।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে ব্যাংকক গিয়েছিলেন সাকিব। সেখান থেকে ফেরার পর গতকাল রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে আঙুলের এক্স-রে করিয়েছেন। আজ এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারটি নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলতে যাবেন কি না।
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আজ (কাল) সাকিবের এক্স-রে করানো হয়েছে। কাল (আজ) রিপোর্টগুলো হাতে পাব। সেগুলো দেখার পর ওর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিপিএলের ফাইনালে বাঁ হাতের অনামিকায় চোট পান বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাঁর চোটের পর বিসিবি জানিয়েছিল, সফরের তিনটি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন সাকিব। আর সাকিব প্রথম আলোকে বলেছিলেন, পুরো নিউজিল্যান্ড সফরই হয়তো শেষ তাঁর।
এক্স-রে রিপোর্ট ইতিবাচক হলে ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় টেস্টে সাকিবের দেখা পেলেও পাওয়া যেতে পারে। বিসিবির কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, এই মুহূর্তে সাকিব হাতে কোনো ব্যথা অনুভব করছেন না। এক্স-রে রিপোর্টটা তাই ভালোই হতে পারে। তবে এটিই যে তাঁকে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার ছাড়পত্র দেবে, ব্যাপারটি এমন নয়।
কাল মিরপুরে ডিপিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনাল শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, ‘সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। যা শুনলাম, ওকে এক সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এরপর ও যদি শতভাগ সুস্থ বোধ করে তো নিউজিল্যান্ডে যাবে। ও তো তৃতীয় টেস্ট খেলতে চেয়েছিল। ও চেয়েছিল এখানেও (ডিপিএল) খেলতে। যাতে ম্যাচ অনুশীলন হয়। ও পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার ওপর সব নির্ভর করছে।’ মুশফিকুর রহিমের দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সম্ভাবনা নিয়েও বললেন বিসিবি সভাপতি, ‘ও যদি একশভাগ ফিট থাকে তো খেলবে।’
উচ্চপর্যায়ের মনোভাব হলো, খেলার জন্য শতভাগ সুস্থ বোধ না করলে সাকিবকে নিউজিল্যান্ডে পাঠানো হবে না। বিসিবির কাছে আগামী ৩০ মে শুরু ইংল্যান্ড বিশ্বকাপটাই আসল। সাকিবকে নিউজিল্যান্ডে পাঠিয়ে বিশ্বকাপের জন্য সামান্যতম ঝুঁকিও নেওয়ার মতো জায়গায় নেই বিসিবি।