বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মধ্যে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের গুজব নতুন কিছু না। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বেশ আগে থেকেই আলোচনা চলছে। এর মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাল, ২০১৩ সালে রোহিতের স্ত্রী ঋতিকা সাজদেহকে নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন কোহলি
বিরাট কোহলির সঙ্গে রোহিত শর্মার সম্পর্ক নিয়ে ফিসফাস আজকের না। বেশির ভাগের মত, ভারতীয় অধিনায়কের সঙ্গে রোহিতের সম্পর্কটা বিরোধপূর্ণ। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার কথা বলতে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রবি শাস্ত্রীকে। এবার তাঁকে আবারও ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে, মতপার্থক্য থাকলেই তা সংঘাত না। তবে কোহলি-রোহিতের বিরোধের গুজবে ঘি ঢেলেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমই। কোহলি ও রোহিতের স্ত্রী ঋতিকা সাজদেহর মধ্যকার অতীত সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকল।
প্রতিবেদনে বলে হয়েছে, ভারতের বর্তমান সহ-অধিনায়কের স্ত্রী ঋতিকাকে নিয়ে ছয় বছর আগে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন কোহলি। রোহিত ও কোহলির মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে যখন আবারও গুঞ্জন ও আলোচনার জন্ম হয়েছে, ঠিক তখনই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। ভারতীয় ক্রিকেট দলে এ দুই সেরা ব্যাটসম্যানের মধ্যে কথিত বিরোধ নিয়ে এর আগে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, সম্ভাব্য দুটি বিষয়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। এক. মতের পার্থক্য, দুই. গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে পাঠানো।
ডেকান ক্রনিকলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফর শেষে ভারতে ফিরে ছুটি কাটাচ্ছিলেন কোহলি। মুম্বাইয়ে এ সময় তাঁকে অপরিচিত এক মেয়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতে দেখা যায়। কোহলি এবং তাঁর বন্ধুকে ছেঁকে ধরেছিলেন ফটোগ্রাফাররা। তখনকার সেই অপরিচিত বন্ধুটি আর কেউ নন, রোহিতের বর্তমান স্ত্রী ঋতিকা। তখন তিনি স্পোর্টস ট্যালেন্ট ম্যানেজার। ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে কোহলির কোনো সমস্যা না হলেও ঋতিকা নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁদের একসঙ্গে সিনেমায় যাওয়ার ছবি তখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএতে প্রকাশ হয়েছিল। ২০১৫ সালে ঋতিকার সঙ্গে বিয়ে হয় রোহিতের।
এ ছাড়া ২০১০ আইপিএলে ঋতিকার সঙ্গে দেখা হয়েছিল কোহলির। তখন থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কোহলির প্রতিনিধিত্বও করেছেন ঋতিকা। তবে সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, ঋতিকা শুধুই বন্ধু ছিলেন ভারতীয় অধিনায়কের।