লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিংবা বিরাট কোহলিকে নিয়ে এই সমস্যায় পড়তে হয়। ব্যবহার করতে করতে সব বিশেষণ এখন ‘ক্লিশে’। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে নতুন করে আর কিছুই বলার নেই। এরপরও কোহলির একটু প্রশংসা করার চেষ্টা করলেন ব্রায়ান লারার। ‘প্রিন্স অব ত্রিনিদাদ’ মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক মানুষ নন মেশিন!
কোহলির জন্য এমন প্রশংসা নতুন কিছু না। তবে লারার কাছ থেকে পাওয়া এ প্রশংসায় তাঁর খুশিই হওয়ার কথা। একটা সময় ছিল যখন শচীন টেন্ডুলকার ও লারার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের একটা দ্বৈরথ ছিল। সেই রাজপাট এখন কোহলির দখলে, যেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে প্রায় কেউ নেই। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্য নিয়েই ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে নামবেন কোহলি। ব্যক্তিগত লক্ষ্যও আছে তাঁর সামনে। ওয়ানডেতে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে আর ১৫৭ রান চাই কোহলির। এ ছাড়াও শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছোঁয়ার পথে আরেকটু এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন কোহলি (৪১)।
ক্যারিবীয় কিংবদন্তি লারার মতে, কোহলি বর্তমান ক্রিকেটের ধারা পাল্টে দিয়েছে। তাঁকে দেখে শুধু বর্তমান ক্রিকেটারেরাই নয় তরুণেরাও অনুপ্রাণিত হয়। ভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে লারা বলেন, ‘সে মেশিন। আশি কিংবা নব্বইয়ে আমরা যেমন ক্রিকেটার দেখে অভ্যস্ত ছিলাম সে তাদের চেয়ে আলাদা। ফিটনেস গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখন যতটা গুরুত্বপূর্ণ ততটা না। এখন প্রচুর খেলতে হয় তাই ভালো ফিটনেস ধরে রাখা জরুরি। সে বুঝিয়ে দিয়েছে ফিটনেসই সবকিছুর চাবিকাঠি।’
কোহলিকে ‘রান মেশিন’ বলেই মনে করেন লারা। টেন্ডুলকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘একজন লোক যতবার মাঠে যাচ্ছে ততবারই রান করছে। শচীন টেন্ডুলকার আমার কাছে অন্যতম সেরা। আমি দুজনের তুলনা করব না তবে কোহলি অসাধারণ প্রতিভা। তরুণদের কাছে উদাহরণ।’ এ নিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলবেন কোহলি। তবে এবারই প্রথম বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেবেন ভারতের।