>কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, সরকার ও বিসিসিআই যে সিদ্ধান্ত নেবে, দল তা মেনে চলবে
২০১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ভারতের সরকার ওপর ছেড়ে দিয়েছে বিসিসিআই। বোর্ডের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই কাল বৈঠক শেষে বলেছেন, ‘১৬ জুন (বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ) এখনো অনেক দেরি। আমরা সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে পরে সিদ্ধান্ত নেব।’ এদিকে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘দেশের সরকার ও বিসিসিআই যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা অনুসরণ করব।’
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের ৪০ জন আধা সামরিক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার পর ভারতজুড়ে পাকিস্তানবিরোধী ক্ষোভ চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিনোদন ও সংস্কৃতিজগৎ—সব জায়গায় চলছে পাকিস্তান-বয়কট। এর মধ্যে দাবি উঠেছে, বিশ্বকাপে ভারত যেন পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তাও বলেছেন, সরকার নির্দেশ দিলে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি তাঁরা বয়কট করতে রাজি।
ভারতীয় দল এখন ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত। কাল বিশাখাপট্টনমে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এর মধ্যে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের দাবি ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই কোহলিদের মনোযোগ বিঘ্নিত হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক সম্ভবত এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন। সরকার ও বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দেবে, দল তা অনুসরণ করবে—কোহলির কাছে বিষয়টি এতটাই পরিষ্কার। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। জাতি যা করতে বলবে এবং বিসিসিআই যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই আসলে আমাদের (দল) মত। সরকার এবং বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা তা মেনে চলব এবং সম্মান জানাব। আর এ ব্যাপারে (বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা না খেলা) এটাই আমাদের অবস্থান।’
কোহলি কোচের সুরেই সুর মিলিয়েছেন। ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও একই কথা বলেছেন, ‘সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা মানব। বিষয়টি আসলে বিসিসিআই ও সরকারের ওপর নির্ভর করছে। কারণ, কী ঘটছে, সেটি তারা জানে এবং সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। আমরা তা অনুসরণ করব। সরকার যদি বলে, বিষয়টি সংবেদনশীল, বিশ্বকাপে তোমাদের খেলার (পাকিস্তানের বিপক্ষে) দরকার নেই, আমি তা মানব।’