ঋষভ পন্তের দুর্ভাগ্যই। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই হারতে হলো। গতকাল দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ ওভারে ২১১ রানের পাহাড় গড়েও রাইলি ফন ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলারের ব্যাটিং-ঝড়ে পরাস্ত হয় ভারত। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই হারের তালিকটা অবশ্য বেশি বড় নয়। এর আগে এমন দুর্ভাগ্য ছিল কেবল বিরাট কোহলির। কাল পন্ত বসলেন তাঁর পূর্বসূরির পাশে।
অঅধ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কানপুরে ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে কোহলির অভিষেক হয়েছিল। সে ম্যাচে ভারত হেরে গিয়েছিল ৭ উইকেটে। মজার ব্যাপার, নিজেদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে কোহলি আর পন্তের ব্যাট থেকে এসেছে একই স্কোর—২৯। তবে কাল কেবল পন্তের শুরুটা হলো। কোহলি এরই মধ্যে ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই ২০ ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান কোহলি। এরপর তাঁকে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। কিছুটা অভিমান করেই টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্বও বিসর্জন দেন কোহলি।
কাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই হার ভারতের জন্য কিছুটা অন্য রকমই। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০ রানের বেশি করেও হার দেখল ভারত। এর আগে ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০০ রানের বেশি করে ভারত কখনো হারেনি।
কালকের ম্যাচটি জিতলে টানা সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতার রেকর্ডও হতো ভারতের। টানা ১২টি ম্যাচ জিতলেও প্রোটিয়াদের কাছে হেরে সেই রেকর্ড আর করা হয়নি ঋষভ পন্তের দলের।