পূর্বসূরি তারকারা কেউই পারেননি। সৌরভ গাঙ্গুলী গিয়েছিলেন সবচেয়ে কাছে। তবে ভারত সত্তর বছরের চেষ্টায় অস্ট্রেলিয়া জয় করলে বিরাট কোহলির হাত ধরেই।
বৃষ্টির কারণে সিডনি টেস্টের পঞ্চম দিন একটি বলও করা যায়নি। আম্পায়াররা দুই অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেই টেস্টটি ড্র ঘোষণা করেছেন। তবে এই ফলে ইতিহাস গড়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয় করেছে তারা বিরাট কোহলির হাত ধরেই।
কপিল দেব পারেননি, পারেননি মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনিও। ২০০৩-০৪ মৌসুমে সিরিজ জয়ের সবচেয়ে কাছে গিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। কিন্তু ভারতকে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া-জয়ের স্বাদ দিলেন সৌভাগ্য আর সাফল্যের বরপুত্র কোহলি। সিডনি টেস্ট ড্র হওয়ায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল তারা।
সিডনি টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসেই রান পাহাড়ে চড়ে বসেছিল ভারত। ৭ উইকেটে ৬২২ রান করে ইনিংসের সমাপ্তি টেনে অস্ট্রেলিয়াকে ৩১ বছর পর নিজেদের মাটিতে ফলোঅনে বাধ্যও করেছিল। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানে অলআউট হওয়ার পর ৩২২ রানে পিছিয়ে থেকে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ৬ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাটে-বলে অসাধারণ নৈপুণ্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের। প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি পাননি চেতেশ্বর পূজারা। তিনি ১৯৩ রানে আউট হলেও ঋষভ পন্ত ১৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন কুলদীপ যাদব। ৯৯ রানে তিনি নেন ৫ উইকেট।
সত্তর বছরের চেষ্টায় ভারতকে এমন সাফল্য এনে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত কোহলি। ব্যাপারটা যে তাঁর জন্য দারুণ গর্বের সেটিই ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি একটা কথাই বলতে চাই আমি এই সাফল্যের অংশীদার হয়ে যতটা গর্বিত, আমার ক্যারিয়ারে আগে এতটা কখনোই হইনি। অধিনায়কের মুখে এই সাফল্যের হাসি দলের সব খেলোয়াড়ের জন্যই। এখনো পর্যন্ত ক্রিকেটার হিসেবে এটি আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন।’