৬০ বলে শতক করে জস বাটলারের উদ্‌যাপন
৬০ বলে শতক করে জস বাটলারের উদ্‌যাপন

কোহলির রেকর্ড ছুঁয়ে তাঁর দল বেঙ্গালুরুকে বিদায় করে ফাইনালে বাটলার

প্রথম রাউন্ডে শেষ ম্যাচের আগেরটিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে দেওয়ার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলে আনন্দের হিল্লোল উঠেছিল। বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিরা এমন উল্লাস করেছিলেন, যেন নতুন ‘জীবন’ পেয়েছেন! অনেকটা সে রকমই ছিল বিষয়টা। দিল্লির হারে যে এলিমিনেটরে জায়গা পেয়েছিল কোহলি–ডু প্লেসিদের দল। এরপর এলিমিনেটরে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়ে ফাইনালের স্বপ্নটা আরও জীবন্ত করে তুলেছিল বেঙ্গালুরু।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না কোহলি–ডু প্লেসিরা। আজ রাজস্থানের কাছে ৭ উইকেটে হেরে ছিটকে গেছে বেঙ্গালুরু। ১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় রাজস্থান। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ গুজরাট টাইটানস। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজস্থানকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

৬০ বলে ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে বাটলার ১০টি চার ও ৬টি ছয় মেরেছেন

মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান তুলে ফেলে রাজস্থান। এই সময়ে ১৩ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২১ রান করে আউট হয়েছেন যশস্বী জয়সোয়াল। ৫.১ ওভারে ৬১ রানে জয়সোয়ালের আউটের পর সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গী করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন জস বাটলার। দ্বিতীয় উইকেটে বাটলারের সঙ্গে ৩৯ বলে ৫২ রানের জুটি গড়ে আউট হয়ে ফেরেন স্যামসন। আউট হওয়ার আগে তিনি ২১ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে করেছেন ২৩ রান।

এরপর ফিরে যান দেবদূত পাড়িক্কালও। তাঁর আউটের পর আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন বাটলার ও শিমরন হেটমায়ার। দলকে সহজ জয় এনে দিতে দুর্দান্ত এক শতক করেছেন বাটলার। এ নিয়ে এবারের আইপিএলে তাঁর শতক হলো চারটি। আইপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ শতকের কোহলির রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। কোহলি চারটি শতক করেছিলেন ২০১৬ সালের আইপিএলে।

সব মিলিয়ে বাটলারের এটি পঞ্চম শতক আইপিএলে। কোহলির শতকও পাঁচটি। আইপিএলে সর্বোচ্চ শতকের তালিকায় দুজনে যৌথভাবে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। ৬টি শতক নিয়ে আইপিএলের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান ক্রিস গেইল।

বাটলার আজ শতক করেছেন ৫৯ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬০ বলে ১০৬ রান করে। ইনিংসটি বাটলার সাজিয়েছেন ১০টি চার ও ৬টি ছয়ে। টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার পথে অনেকটা এগিয়েও গেলেন তিনি।

আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ কোহলির বেঙ্গালুরু উঠতে পারল না ফাইনালে

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বেঙ্গালুরু ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে থেমেছে ১৫৭ রানে। আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক রজত পাতিদার ৪২ বলে করেন ৫৮ রান, ১৩ বলে ২৪ রান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। অধিনায়ক ডু প্লেসি করেছেন ২৭ বলে ২৫ রান। তবে ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন কোহলি। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৮ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। রাজস্থানের দুই পেসার প্রসিধ কৃষ্ণা ও ওবেদ ম্যাকয় নেন ৩টি করে উইকেট। ১টি করে নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।