নিউজিল্যান্ডে আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে ভারতের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ভারতের উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল। দলের মূল উইকেটরক্ষকদের ব্যাটিংয়ে বাজে ফর্ম এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে এ কঠিন কাজগুলো আর করতে হবে না প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে। তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাঁর উত্তরসূরির খোঁজও শুরু হয়ে গেছে।
শুধু প্রধান নির্বাচক নয়, ভারত পুরুষ দলে মোট দুজন নির্বাচকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। নারী দলের নির্বাচকদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি পাঁচ। আর বয়সভিত্তিক পুরুষ দলেও দুজন নতুন নির্বাচক খুঁজতে হবে ভারতকে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি আটকে রয়েছে। কারণ, নির্বাচকদের নির্বাচিত করার লোকই যে খুঁজে পাচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
প্রসাদের ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে, এটা প্রায় সবার জানা। সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার লক্ষণ শিবরামকৃষ্ণকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে দেখার সম্ভাবনা। সাবেক ক্রিকেটার এরই মাঝে নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে রেখেছেন। ৫৪ বছর বয়সী সাবেক লেগ স্পিনার ছাড়াও চেতন শর্মা, রাজেশ চৌহান ও অময় খুরাসিয়াও আবেদন করেছেন। আজই আবেদনের শেষ দিন। ভেংকটেশ প্রসাদ, নয়ন মঙ্গিয়া, অজিত আগারকারেরও আজ আবেদন করার কথা।
সাধারণত বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচকদের নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু বিসিসিআই সেটা করতে পারছে না। কারণ ক্রিকেট পরামর্শক কমিটিতে (সিএসি) নিয়োগ দেওয়ার মতো লোক তারা খুঁজে পাচ্ছে না। নির্বাচকদের সাক্ষাৎকার নেওয়া ও নির্বাচিত করার পরামর্শ কমিটিরই। আজ নির্বাচকদের আবেদনের শেষ দিন হলেও এখনো সিএসি গঠিত হয়নি। গত সপ্তাহে মদন লাল, গৌতম গম্ভীর ও সুলক্ষণা নায়েকের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু গম্ভীর দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে আরপি সিংকে নেওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছে বোর্ড। কিন্তু ধারাভাষ্যে ব্যস্ত থাকায় তাঁকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, বর্তমান আইনে দুটি পদে থাকা স্বার্থের সংঘাত।
এমন অবস্থায় বোর্ড আরপি সিংকে ধারাভাষ্যের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। তাহলেই এ সপ্তাহে সিএসি গঠন করে আগামী সপ্তাহে নতুন নির্বাচক নিয়োগ দিতে পারবে বোর্ড।