বিরাট কোহলি কাল একটা দুঃস্বপ্নই দেখছিলেন। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন, দলকে এনে দিয়েছেন ২০০-র বেশি স্কোর। সে ম্যাচই কিনা হারতে বসেছিলেন কোহলি। নিতীশ রানা ও আন্দ্রে রাসেলের তাণ্ডবের পরও একটুর জন্য বেঁচে গেছেন কোহলি ও তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এর পেছনে রবীন উথাপ্পার অবদানকে নিশ্চয় খাটো করে দেখতে চাইবেন না কোহলি। উথাপ্পার ওই ইনিংসেই তো ব্যবধান হলো!
২১৪ রানের লক্ষ্যে নেমে রবীন উথাপ্পা অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ধাক্কা সামলানোর কাজটা জরুরি ছিল। অন্য প্রান্তে নিতীশ রানাও সেটা করছিলেন। তবে উথাপ্পার ইনিংসটি অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ২০ বলে ৯ রান রান করেছেন উথাপ্পা। ১১ বল বাড়তি খেলেছেন উথাপ্পা। আর কলকাতা নাইট রাইডার্স হেরেছে ১০ রানে! আর ওতেই হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন কোহলি। এ মৌসুমে একের পর এক হারে যে লজ্জার রেকর্ডটি তাঁর কাঁধে এসে পড়েছে, অন্তত এক ম্যাচের জন্য সে রেকর্ড থেকে ভারমুক্ত হয়েছেন কোহলি।
গতকাল অমন এক ইনিংস খেলে দলের হারে অবদান রেখেছেন উথাপ্পা। আর তাতে নিজের হারের রেকর্ডও সমৃদ্ধ হয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের নিয়মিত সদস্য হয়ে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান কলকাতার হয়ে অনেক ম্যাচেই সুপার ওভারে হেরেছেন। সে ম্যাচগুলো মাথায় না এনেও আইপিএলে এ নিয়ে ৮৯টি ম্যাচে হারলেন উথাপ্পা। গতকাল পর্যন্ত তাঁর একজন সঙ্গী ছিল। এ মৌসুমে ৭ ম্যাচ হেরে উথাপ্পার সঙ্গী হয়েছিলেন বিরাট কোহলি (৮৮)। সবচেয়ে বেশি হারের তিনে থাকা ব্যাটসম্যানটিও কলকাতার। কলকাতার ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়ায় হারের স্বাদটা চেনা হয়ে গেছে দিনেশ কার্তিকের (৮৩)।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক এককভাবে শুধুই মুম্বাইয়ে খেলেননি; ডেকান চার্জার্সে ক্যারিয়ার শুরু করা শর্মা হেরেছেন ৮২ ম্যাচে। কোহলির বর্তমান সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্সও খুব পিছিয়ে নেই। কোহলির অধীনে বেঙ্গালুরুর ভয়াবহ পারফরম্যান্সে তাঁর রেকর্ডটাও উজ্জ্বল হয়েছে (৭৭ হার)। তাঁর পরেই আছেন লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র (৭৬)।