বিরাট কোহলি মানে ভিন্ন কিছু। তিনি এমন একজন ক্রিকেটার, যাঁর উপস্থিতিই দলকে উজ্জীবিত করে মাঠে। ব্যাট হাতে তাঁর পারফরম্যান্সে যিনি নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছেন, গড়ছেন; নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন আরও ওপরে। তাঁর শরীরী ভাষাই বলে দেয়, ‘অসাধ্য কিছু নেই।’ এক কোহলিই ভারতীয় ক্রিকেট দলের মননে গেঁথে দিয়েছেন যেকোনো পরিস্থিতিতে করা সম্ভব যেকোনো কিছুই।
স্টিভ ওয়াহও সেটিই মনে করেন। একসময় সর্বজয়ী এক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই শতকের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে এমন এক উচ্চতায় তুলে দিয়েছিলেন, যেখানে তাদের জয় কোনো সংবাদ ছিল না। তারা হেরে গেলেই শিরোনাম নিয়ে মাথাব্যথা শুরু হতো সবার। স্টিভ ওয়াহ মনে করেন, এ যুগে কোহলি ভারতীয় দলকে নিয়ে ঠিক সে কাজটাই করে চলেছেন।
কোহলিকে নিয়ে ওয়াহ কথা বলেছেন, ভারতকে নিয়ে নির্মিত তাঁর এক তথ্যচিত্রে। সেখানে তিনি বলেছেন, কোহলি হচ্ছে আধুনিক ভারতীয় মানসিকতার প্রতীক। সেটি এমন যে ভারতীয়রা এখন কাউকে ভয় পায় না, করে যায় নিজেদের কাজটি। শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় তাদের ভয়ডরহীন মানসিকতাই। কোহলি যেন আধুনিক সময়ের নায়ক।
তথ্যচিত্রে ওয়াহ জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালে ভারতে তাঁর প্রথম সফরটি ছিল একধরনের ধাক্কার মতো, ‘ওই সময় আমি বোম্বে (হাল মুম্বাই) নেমে বিশাল সাংস্কৃতিক ধাক্কা খেয়েছিলাম। বোম্বের রাস্তাজুড়ে অসংখ্য গাড়ি, বাস, মোটরবাইক। ফুটপাতে কুকুর-বিড়াল-ইঁদুর দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যেদিকে তাকাচ্ছি, কেবল মানুষ আর মানুষ। আমার সে সময় মনে হয়েছিল, এ কোথায় এসে পড়লাম আমি?’
এরপর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা ক্রমাগত ঘনিষ্ঠ হয়েছে ওয়াহর। ভিডিওচিত্র ‘ক্যাপচারিং ইন্ডিয়া’তে তিনি সে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, ক্রিকেট দেশটিতে ধর্মের মতো একটা ব্যাপার। ভারতীয়রা ক্রিকেটকে ভালোবাসে। এই ৩৪ বছরে ওয়াহ ভারতীয়দের সঙ্গে মিশেছেন। ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশাল ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত, ‘আমি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেছি। তাজমহল দেখেছি, হিমাচল প্রদেশে গিয়েছি। ঘুরে বেড়িয়েছি দিল্লি, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত। মানুষের সঙ্গে মিশেছি। ভারত সফর আমার অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ।’