>টি-টোয়েন্টি সিরিজ পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দল এখন ভাবছে টেস্ট নিয়ে। বিসিএলের প্রথম রাউন্ড দিয়ে প্রস্তুতি সারবেন ক্রিকেটাররা
পাকিস্তান থেকে ভালো ফল নিয়ে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ দল। মাহমুদউল্লাহরা টি-টোয়েন্টি সিরিজটা হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। তবে সেটি এখন অতীত। সামনে চলে এসেছে টেস্ট। রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ পাকিস্তানে রওনা দেবে ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে। নির্বাচকেরা টেস্ট দল দিয়ে দেবেন ৩১ জানুয়ারি।
৩১ জানুয়ারি শুরু বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডের কোনো প্রভাব থাকছে না টেস্ট দল গঠনে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন প্রথম আলোকে বললেন, ‘টেস্ট দল গঠনে বিসিএলের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন হবে কীভাবে? দলই তো ৪ তারিখে চলে যাচ্ছে পাকিস্তানে। এখানে লজিস্টিকসের ব্যাপার আছে না! আমরা একটি অনুশীলন ম্যাচ আয়োজনের কথা ভেবেছিলাম। সেটি না করে বিসিএলের একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিচ্ছি টেস্ট দলে থাকা ক্রিকেটারদের।’ টেস্ট দলে অভিজ্ঞদেরই সুযোগ করে দিতে চাইছেন নির্বাচকেরা। চমক হিসেবে নতুন কোনো নাম না থাকার কথাই বললেন মিনহাজুল, ‘টেস্টে তো আর পরীক্ষানিরীক্ষা করা যায় না। অভিজ্ঞরাই থাকছে।’
অবশ্য বাংলাদেশ দলে টেস্ট টুপি যে ‘সহজলভ্য’, নতুন মুখ দেখা গেলেও তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না! যাঁদের সুযোগ পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত, তাঁদের মধ্যে তরুণ ওপেনার সাদমান ইসলামকে নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা অবশ্য তৈরি হয়েছে। লাহোরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলার সময় মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছেন টেস্ট দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়েরা। সাদমানও ছিলেন এঁদের মধ্যে। পরশু হঠাৎ পুরোনো চোটটা ফিরে এসেছে সাদমানের কবজিতে। চিকিৎসকেরা ইনজেকশন দিয়েছেন। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বললেন, ‘ব্যথা কমাতে ইনজেকশন দিয়েছি। দুদিন পর দেখা সিদ্ধান্ত নেব। বিসিএলের প্রথম রাউন্ড অনিশ্চিত। তবে টেস্ট নিয়ে এখনই বলা যাবে না।’ প্রধান নির্বাচক অবশ্য সাদমানকে এখনই স্কোয়াডের বাইরে রাখছেন না, ‘ওকে ইনজেকশন দিয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছে, দুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যেতে পারে। না হলে বিকল্প দেখতে হবে।’
রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি। এই টেস্ট খেলে বাংলাদেশ দলের ফেরার কথা ১২ ফেব্রুয়ারি।