>ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিরাট কোহলিদের কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়তে পারে। এ মাসের শেষেই তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে
বিরাট কোহলিদের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীই আবার ভারতের কোচ হতে পারেন। চলতি মাসের শেষ দিকে তাঁর চুক্তির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। কোচ নির্বাচক কমিটির তিন সদস্যের একজন অংশুমান গায়কোয়াড়ও এর আগে শাস্ত্রীর কোচ পদে টিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ভারতের কোচ পদে আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। বড় কিছু নামের আবেদন জমা পড়েছে। শাস্ত্রীকেও নতুন করে কোচ পদে আবেদন করতে হয়েছে। গায়কোয়াড় এর আগে বলেছিলেন, দলের ফলাফল চিন্তা করলে শাস্ত্রী অনেক ভালো করেছেন। কোচ নির্বাচক কমিটির (সিএসি) প্রধান কপিল দেবও বিশ্বকাপে কোহলির দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছিলেন। আর এবার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শাস্ত্রীর চুক্তির আরও দুই বছর বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শেষ হবে তাঁর নতুন চুক্তির মেয়াদ।
কোহলিদের নিয়ে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছেন শাস্ত্রী। ভারতের হেড কোচ হিসেবে তাঁর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে। আরও দুই বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়লে সে সময়ের মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০২০ ও ২০২১) খেলবে ভারত। এ ছাড়া আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচি তো আছেই। আগামী বছর থেকে শুরু হচ্ছে আইসিসি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপও। শাস্ত্রীর অধীনে এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশের কিছু বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়, দুটি এশিয়া কাপের শিরোপা। ব্যর্থতাও আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডে সিরিজ হার এবং বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া।
হেড কোচ পদ ধরে রাখতে ভারতীয় অধিনায়কের সমর্থনও পাচ্ছেন শাস্ত্রী। কোহলি সোজাসাপ্টাই জানিয়েছেন, কোচ পদে শাস্ত্রীই দলের প্রথম পছন্দ। কোহলির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘২০১৭ সালে তিনি (শাস্ত্রী) ছিলেন দলের প্রথম পছন্দ। ২০১৯ সালেও তিনি আবারও দলের প্রথম পছন্দ। কোহলিকে জিজ্ঞেস করা হলে এ ব্যাপারে সে কোনো রাখঢাক রাখেনি।’
ভারতের কোচ হিসেবে বিসিসিআই যে ধরনের যোগ্যতা চেয়েছে, এ পর্যন্ত যত আবেদনপত্র জমা পড়েছে, তার মধ্যে শাস্ত্রী ছাড়া শুধু একজনেরই সে ধরনের যোগ্যতা রয়েছে—টম মুডি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ ক্রিকেটার এখন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলেও কোচের দায়িত্ব ছিলেন। মুডি জাতীয় দলে সবশেষ কোচের দায়িত্বে ছিলেন ২০০৭ সালে (শ্রীলঙ্কা)।
শাস্ত্রীর মতো বোলিং কোচ পদে ভরত অরুণের মেয়াদও সম্ভবত বাড়ছে। তাঁর অধীনে সাদা ও লাল বলের ক্রিকেটে বেশ ভালো করছেন ভারতের বোলাররা। তবে ব্যাটিং কোচ পদে পরিবর্তন আসছে। অর্থাৎ সঞ্জয় বাঙ্গারের মেয়াদ বাড়ছে না ব্যাটিং কোচ হিসেবে। পরিবর্তন আনা হবে ফিল্ডিং কোচ পদেও। আর শ্রীধর ফিল্ডিং কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ফিল্ডার জন্টি রোডসও আবেদন করেছেন এ পদে।