বিশ্বকাপ জেতায় ২০১৯ সালটা সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড। রুদ্ধশ্বাস সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে সেরা হন বেন স্টোকস। বিশ্বকাপের পর আগস্টে হেডিংলি টেস্টও জায়গা করে নেয় ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচগুলোর তালিকায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ১ উইকেটের সেই জয়ের নায়ক ছিলেন অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস খেলা স্টোকস।
মূলত এ দুই পারফরম্যান্স দিয়েই ২০১৯ সালে উইজডেনের ‘লিডিং’ ক্রিকেটার হলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। আজ প্রকাশিত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের ১৫৭তম সংস্করণে গত বছরের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে স্টোকসকে। বর্ষসেরা হিসেবে জায়গা পাওয়া পাঁচ ক্রিকেটার, জফরা আর্চার (ইংল্যান্ড), প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া), সাইমন হারমার (দক্ষিণ আফ্রিকা), এলিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া) ও মারনাস লাবুশেন (অস্ট্রেলিয়া)।
এটি দিয়ে উইজডেন লিডিং ক্রিকেটারের বিরাট কোহলির রাজত্বের ইতি টানলেন স্টোকস। আগের তিন সংস্করণে সেরা হয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। গত ১৫ বছরের মধ্যে ইংল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এ মর্যাদা পেলেন স্টোকস। সর্বশেষ ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড থেকে উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার হয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। দুজনই অলরাউন্ডার।
অ্যালমানাকে উইজডেন সম্পাদক লরেন্স বুথ লিখেছেন, ‘মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেন স্টোকস জীবনের সেরা দুই পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।’ নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা (লিডিং) হয়েছেন পেরি। টি-টোয়েন্টিতে লিডিং ক্রিকেটারের মর্যাদা পেয়েছেন ক্যারিবীয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল।
গত বছরের মে মাসে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের পর আর্চারের উত্থান ঘটেছে উল্কার মতো। দুই মাসের মধ্যে বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারে বল করেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। অ্যাশেজে টেস্ট অভিষেকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিয়েছেন ২২ উইকেট। ওই সিরিজেই ২৯ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। আর লাবুশেন স্টিভ স্মিথের ‘কনকাশন বদলি’ হয়ে মাঠে নামার পর মেরেছেন টানা চার ফিফটি।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী এসেক্সের হয়ে ৮৩ উইকেট নিয়েছিলেন হারমার। মেয়েদের অ্যাশেজে সবচেয়ে বেশি রান ও উইকেট ছিল পেরির।