কৃপণ বোলিংয়ের বিশ্ব রেকর্ডটা আরাফাত সানির

সিপিএলে আজ কম রান দেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন ইরফান খান। ছবি: সিপিএল
সিপিএলে আজ কম রান দেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন ইরফান খান। ছবি: সিপিএল
টি-টোয়েন্টিতে আজ ৪ ওভার বোলিংয়ে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার নতুন রেকর্ড গড়েছেন ইরফান খান। তবে এই সংস্করণে ন্যূনতম ২ ওভারের বেশি বল করে কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার একজন বাংলাদেশির


অবিশ্বাস্য? তা বলাই যায়। লোকে বলে, টি-টোয়েন্টি বোলারদের বধ্যভূমি, খেলাটা আসলে ব্যাটসম্যানদের। সেখানে ৪ ওভার বোলিং করে ৩টিতেই মেডেন, ২ উইকেট। শেষ ওভারেও প্রথম ৫ বলে কোনো রান নেই, শেষ বলে ভাগ্যগুণে ১! সিপিএলে আজ ইরফান খান সত্যিই অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভার বোলিংয়ে এটি সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড। তবে এর চেয়েও কম রান দিয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার রেকর্ড আছে। আর এই রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশেরও নাম!

রেকর্ডটি অবশ্য পুরো ৪ ওভার বোলিং করে নয়। তবে বোলিং ফিগার চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো। শুধু বাংলাদেশ নয় জড়িয়ে আছে শ্রীলঙ্কার নামও। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে বার্ঘার রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন চিলো মারিয়ানস ক্রিকেট ক্লাবের দিনুকা হেত্তিয়ারাচ্চি। এই ৩ উইকেট পেতে তিনি করেছিলেন মাত্র পাঁচটি বল। টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে ন্যূনতম ৩ উইকেট পাওয়ার সেটিই প্রথম কীর্তি। নয় বছর পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হেত্তিয়ারাচ্চির নামটি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন আরাফাত সানি। ২০১৬ সালের সেই টুর্নামেন্টে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচে তাঁর বোলিং ফিগার—২ ওভার ৪ বল। দুটিই মেডেন, বাকি চার বলেও কোনো রান দেননি। উইকেট তিনটি!

আরাফাত সানি। ফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে শূন্য রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সানি। তবে টি-টোয়েন্টিতে দুই ওভারের বেশি বল করে কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার সানি। ন্যূনতম দুই ওভার বল করে শূন্য রানে উইকেট পাওয়ার নজির আছে আর একটি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ওভারে দুটি মেডেন তুলে নেওয়ার সঙ্গে একটি উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার নুয়ান কুলাসেকারা।

দুই বছর আগে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সেই ম্যাচে সানি বোলিংয়ে এসেছিলেন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। প্রথম ওভারে কোনো উইকেট পাননি। এরপর এলেন নবম ওভারে। এসেই মুড়ে দিলেন খুলনার লোয়ার অর্ডার। ওই ওভারেই দুই উইকেট। প্রথমে আরিফুল হক, এরপর জুনায়েদ খান। আর ১১তম ওভারে এসে চতুর্থ বলে বোল্ড করেন খুলনার মোহাম্মদ আসগরকে। ১৬ বলে কোনো রান না দিয়েই তিন উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই স্পিনার।

খেলোয়াড়

ওভার

মেডেন

রান

উই.

ইকো.

আরাফাত সানি

২.৪

০.০০

নুয়ান কুলাসেকারা

২.০

০.০০

মোহাম্মদ ইরফান

৪.০

০.২৫

রণিত মোরে

৩.০

০.৩৩

ব্রেন্ডন স্কালার্ড

৩.০

০.৩৩

ক্রিস মরিস

৪.০

০.৫০