পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি

কানেরিয়ার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন আফ্রিদির

শহীদ আফ্রিদি সম্ভবত ঈদের ছুটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ছুটি শেষ হতেই পাটকেল ছুড়েছেন সাবেক সতীর্থের দিকে। গত মাসের শেষ দিকে দানিশ কানেরিয়া তাঁকে যা ইচ্ছা তাই বলে গালাগাল করেছেন। একাধারে মিথ্যুক, চরিত্রহীন ও ষড়যন্ত্রকারী বলেছেন আফ্রিদিকে। এটাও বলেছেন, সনাতনধর্মী বলে তাঁকে লক্ষ্য বানিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক, এমনকি তাঁকে ধর্মান্তরিত করারও চেষ্টা করেছিলেন।

সাবেক লেগ স্পিনারের এমন সব অভিযোগের জবাবটা কড়াই দিয়েছেন আফ্রিদি। বলেছেন, সস্তা জনপ্রিয়তা ও টাকার লোভেই এসব কথা বলছেন কানেরিয়া।

কানেরিয়া ও আফ্রিদি

কদিন আগে কানেরিয়া আফ্রিদি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘সে কখনোই চাইত না আমি দলে থাকি। সে একটা আস্ত মিথ্যাবাদী আর ষড়যন্ত্রকারী। চরিত্রেও সমস্যা আছে ওর। সে সব সময়ই আমাকে পেছন থেকে টেনে ধরত। আমরা দুজনই লেগ স্পিনার ছিলাম। সে কারণে আফ্রিদি আমাকে বসিয়ে দিত। আফ্রিদি অন্য খেলোয়াড়দের আমার বিরুদ্ধে উসকে দিত। আমার যেহেতু ভালো পারফরম্যান্স ছিল, তাই সে আমাকে হিংসা করত। আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলতে পেরে গর্বিত। আমি অনেক কৃতজ্ঞ।’

পাকিস্তানের হয়ে ৬১ টেস্ট ও ১৮ ওয়ানডে খেলেছেন কানেরিয়া। একসময় টেস্ট দলের মূল স্পিনার হয়ে ওঠা এই স্পিনারের উইকেট সংখ্যা ২৬১। ওয়ানডেতে ১৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন, একেও ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই দাবি করেন কানেরিয়া।

শহীদ আফ্রিদি ও দানিশ কানেরিয়া

এমন একজনের অভিযোগকে যে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই, সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন আফ্রিদি। নিউজ নাউ পাকিস্তানকে বলেছেন, ‘যে মানুষ এসব কথা বলছে, আগে তার চরিত্রের দিকে তাকান। আসলে ও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে সস্তা জনপ্রিয়তা আর অর্থের লোভে। কানেরিয়াকে আমার ছোট ভাইয়ের মতো দেখতাম। ওর সঙ্গে বহু বছর খেলেছি। আমার আচরণ যদি এত খারাপ হতো, তাহলে তখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অভিযোগ করেনি কেন? বা দলে জানায়নি কেন?’

আফ্রিদির অভিযোগ, ধর্মকে কাজে লাগিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছেন কানেরিয়া, ‘সে আমাদের শত্রুদেশে (পত্রিকায়) সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়াচ্ছে, যা ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।’