অসুস্থ মেয়েকে ভর্তি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক হাসপাতালে। আর দেশের দায়িত্ব পালন করতে আসিফ আলী ছুটে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলার জন্য। সেখানেই শুনেছিলেন দুঃসংবাদটা। মেয়ে আর বেঁচে নেই। মেয়ের মুখটি শেষবারের মতো দেখতে আসিফ তাই ফিরে গিয়েছিলেন দেশে। সেই শোক নিয়েই দলের সঙ্গে যোগ দিতে কাল ইংল্যান্ডে গেছেন এই ক্রিকেটার।
বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিল আসিফের দুই বছরের ফুটফুটে কন্যাসন্তান নূর ফাতিমা। চতুর্থ ধাপের ক্যানসার, মৃত্যুটা অবধারিতই ছিল। তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আসিফরা। শেষ চেষ্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়েছিল শিশুটিকে। কিন্তু লাভ হয়নি। গত রোববার মারা যায় আসিফের ১৯ মাস বয়সী শিশুকন্যা। ফয়সালাবাদে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। কন্যার মৃত্যুশোক সহসাই কোনো বাবার পক্ষে ভুলে যাওয়া ভীষণ কঠিন। আসিফ এ আঘাত কাটিয়ে উঠতে না পারলেও কন্যাকে হারানোর শোককে দেখছেন শক্তি হিসেবে। ফাতিমাকে লড়াইয়ের শক্তি ও প্রেরণা হিসেবেই দেখছেন হার্ড হিটার এ ব্যাটসম্যান।
২৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার টুইট করেন, ‘ফাতিমাকে আমি যোদ্ধা হিসেবে মনে রাখতে চাই। সে আমার শক্তি, প্রেরণা। তাঁর স্মৃতির সুগন্ধি আমার সারা জীবনের সঙ্গী। আমার রাজকুমারীর আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করতে সবাইকে আবারও অনুরোধ করছি। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পাননি, বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটাকে আসিফ বেছে নিয়েছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ হিসেবে। সে লক্ষ্যে এগিয়েও যাচ্ছিলেন বেশ। সিরিজে পাকিস্তান প্রচণ্ড বাজে খেলেছে, ৪-০ ব্যবধানে হেরেছে, নিজেকে কিছুটা চিনিয়েছেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছিলেন। কিন্তু মেয়ে হারানোর বেদনায় ছাপিয়ে গেছে তাঁর জীবনের সবকিছুই। এখন এই বেদনাকে সঙ্গী করেই তাঁকে দেশের হয়ে লড়তে হবে বিশ্বকাপে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কার্ডিফে বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ কার্ডিফে প্রস্তুতি ম্যাচে আসিফের খেলার সম্ভাবনা আছে।