শুক্রবার সকালেই অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি উইকেটকিপার রডনি মার্শের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছিলেন শেন ওয়ার্ন। সন্ধ্যাতেই টুইটারে শোকের ঝড়—চলে গেছেন শেন ওয়ার্ন।
বিনা মেঘে বজ্রপাত তো এমন কিছুকেই বলে। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২। শারীরিক কোনো সমস্যার কথাও আগে শোনা যায়নি। কিংবদন্তি লেগ স্পিনারের মৃত্যু স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়াকেই। অবিশ্বাস্য এ বিদায় মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই মারা গেছেন ওয়ার্ন। তাঁর কি হৃদ্রোগ ছিল? ব্যাপারটি হয়তো প্রকাশিত নয়, তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক পিটার ব্রুকনার মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ছিল ওয়ার্নের। তাঁর মৃত্যুটা হয়তো মনে হচ্ছে হঠাৎই কিন্তু ব্রুকনার সেটি মানেন না।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সাবেক এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘ওয়ার্ন জীবনের শেষ দিকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ওয়ার্নের পরিবার জানিয়েছে, ওয়ার্ন সর্বশেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্টের সমস্যা ও হাঁপানিতে ভুগছিলেন এবং ওজন কমাতে ১৪ দিন শুধু তরল খাবার ছিল তাঁর খাদ্যতালিকায়।’
ব্রুকনারের মতে, ওয়ার্নের শারীরিক সমস্যাগুলো অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার একটি বাণিজ্যিক রেডিও ট্রিপল এম পার্থের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ব্রুকনারের দাবি, ‘ওয়ার্ন হৃদ্রোগে আক্রান্ত ছিলেন, এমন কিছুতে যদি অবাক হন, তাহলে জেনে নিন, থাইল্যান্ডে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হঠাৎই হয়নি। এটা ২০-৩০ বছর ধরে অতিরিক্ত ধূমপান, বাজে খাদ্যাভাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনের ফল।’
ওয়ার্নের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অস্ট্রেলিয়ার আরেক কিংবদন্তি উইকেটকিপার ইয়ান হিলিও জানিয়েছেন, ওয়ার্নের মৃত্যুতে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও অবাক হননি। কারণ, ওয়ার্নের মাঠের বাইরের জীবনের সঙ্গে তিনি পরিচিত ছিলেন। তাঁর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে তাঁর মনেও শঙ্কা তৈরি হয়েছে বহুবার, ‘ওয়ার্নের এত তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া আমাকে অবাক করেনি। সে মোটেও শরীরের যত্ন নেয়নি। খেয়ালখুশিমতোই ব্যায়াম করত সে।’
ওয়ার্নের অকালমৃত্যু যেন যেকোনো মানুষের জন্যই বিরাট সাবধানবাণী।