গতকাল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ‘স্ট্যান্সবাজি’ দেখালেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৯তম ওভারের প্রথম ৩ বলে এল ২ রান। ডেথ ওভারে এমন রান উঠলে কি মানায়! স্ট্যান্স তাই বদলে নিলেন। হয়ে গেলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর? দেখালেন আয়নাবাজি। ৩ বলে ১৪ রান তুললেন। সিলেট সিক্সার্সও পেয়ে গেল বড় ইনিংস। এরপর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে সবখানে। অথচ এমন ঘটনা ২৫ বছর আগেও ক্রিকেট–বিশ্ব দেখেছিল!
ভারতের রন্জি ট্রফিতে কর্ণাটক-সৌরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চলছিল। ব্যাটিংয়ে নামেন সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার। পিচ এমন বাজে আচরণ করছিল যে সুবিধা করতে পারছিলেন না খুব একটা। টুর্নামেন্ট বাঁচাতে বিশেষ এক কৌশলের আশ্রয় নেন গাভাস্কার। ম্যাচের এক মুহূর্তে স্ট্যান্স বদল করে হয়ে যান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দশ ওভারের চেয়েও বেশি এভাবেই চালিয়ে গেছেন। ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পেরেছিলেন কিন্তু ফাইনালে উঠে যায় বিপক্ষ দল কর্ণাটক।
সেদিনকার ঘটনা মনে করতেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন সাবেক স্পিনার রাঘুরাম ভাট। তিনি বলেন, ‘সেই ঘটনা ভোলার মতো নয়। সেদিন বল ডান দিকে টার্ন করছিল। আমি শুধু লাইন ঠিক করে ভালো জায়গায় বোলিং করে যাচ্ছিলাম। সে বলের মুখোমুখি হওয়াটা বাঁহাতিদের জন্য সহজ ছিল, আর যদি সামনে এসে ব্যাটিং করে অথবা প্যাডকে কাজে লাগায় তাহলে। তাঁর বিপক্ষে বল করা দারুণ একটা ব্যাপার ছিল আর ১২-১৩ ওভারের মতো বাঁ হাতে ব্যাটিং করার মতো যে সাহস দেখিয়েছে, সেটি ছিল অসাধারণ।’
অনেকেই বলে থাকেন, গাভাস্কার বাঁ হাতে ব্যাট করে কাজটি ঠিক করেননি। এটা বোলারকে অশ্রদ্ধা জানানোর মতো। কিন্তু ভাটের মত ভিন্ন। তাঁর মতে, ‘আমি এটাকে খারাপ কিছু মনে করি না। সে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল এবং সেটি তার দায়িত্ব। সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে হারার চেয়ে যেটা ছিল ভালো। সেদিনের খেলা যদি রেকর্ড করে রাখতাম আমি অবশ্যই সেটি তরুণ ক্রিকেটারদের দেখাতে পারতাম।’