‘দৃষ্টি শক্তি কমে গেছে কোহলির।’ কিছুদিন আগে বিরাট কোহলির সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব। গত নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে ছিলেন কোহলি। সেঞ্চুরি তো ছিলই না, তিন সংস্করণ মিলে ১১ ইনিংস খেলে ফিফটি করেছিলেন মাত্র একটি।
বয়স ৩১ হয়ে গেছে। তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই তাঁর চাহিদা থাকলেও সম্ভব হচ্ছে না এত ভার নেওয়া। দলের নেতৃত্বও যে তাঁর কাঁধেই। তাই যে কোনো এক সংস্করণ সড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কোহলি। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
কোহলি জানিয়েছেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমার বিশ্রামের প্রয়োজন। গত দুই-তিন বছরে আমাকে অনেক খেলতে হয়েছে। যখনই পেরেছি বিশ্রাম নিয়েছে। হয়তো এখানে একটি ওয়ানডে সিরিজ, তারপর কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আমি টেস্ট ক্রিকেটটা মিস করতে চাই না।’ অতিরিক্ত খেলা যে মাঝে মাঝে অবসাদের জন্ম দেয় সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন কোহলি, ‘কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল যখন আমার মনে হয়েছে এর কোনো মানে হয় না। আমি সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে বলেছি। আমি বলেছি এমন ম্যাচ খেলা ঠিক না যার জন্য আপনি কোনো অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি এভাবে খেলা পছন্দ করি না।’
দিনের পর দিন এভাবে ব্যস্ত ক্রিকেট সূচি মানা যে কঠিন সেটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন কোহলি, ‘নয় বছর ধরে এক টানা তিন ফরম্যাটে খেলে যাচ্ছি, আইপিএল তো আছেই। ছয় বছর ধরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্ব করছি। বিষয়টি এত সহজ নয়।’
ভারতের মাটিতে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তত দিন তিন সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন কোহলি। কিন্তু এরপরই বড় এক সিদ্ধান্ত নেবেন, ‘আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত দুই-তিন বছরের জন্য একটা সময় বেঁধে দিয়েছি। তত দিন আমার সর্বোচ্চটাই দেব। এর পর কী অবস্থা, কোন ফরম্যাট—এসব নিয়ে চিন্তা করব।’
টেস্ট ক্রিকেট পাগল কোহলি ক্রিকেটের কুলীন সংস্করণ ছাড়বেন না। ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি—কোনটি বাদ দেবেন কোহলি?