গতকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলেছে ভারত। নামিবিয়ার বিপক্ষে সে ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলে ফেললেন বিরাট কোহলি। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও এটি মোটামুটি নিশ্চিত যে রোহিত শর্মা হচ্ছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের পরবর্তী অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়লেও ওয়ানডে এবং টেস্টের অধিনায়কত্ব এখনই ছাড়ছেন না কোহলি। তবে এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে পরপর দুই ম্যাচ হেরে গিয়ে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকেই বাদ পড়ে গেছে ভারত। দলের এমন পারফরম্যান্সের কারণে কানাঘুষা শুরু হয়ে গিয়েছিল যে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বও কেড়ে নেওয়া হবে কোহলির কাছ থেকে।
বোর্ডের এক সূত্র বিশ্বকাপের মাঝপথেই এমন আভাস দিয়েছিলে। সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান বীরেন্দর শেবাগ অবশ্য মনে করেন, এখনই ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে বাকি দুই সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
নিজের ফেসবুক পেজে শেবাগকে এক ভক্ত প্রশ্ন করেন, কোহলিকে বাকি দুই সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কিনা। শেবাগ এর উত্তরে নিজের মতটা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় না ওর বাকি দুই সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। ওর অধিনায়কত্বে ভারত খুবই ভালো খেলছে এবং অধিনায়ক হিসেবেও ওর রেকর্ডও দুর্দান্ত।’
তবে কোহলি অধিনায়কত্ব করবেন কি করবেন না, এ সিদ্ধান্ত তাঁর ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেই মনে করেন শেবাগ, ‘সে খুব ভালো ক্রিকেটার এবং একজন আগ্রাসী অধিনায়ক যে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়। আমি শুধু এটাই বলব যে বাদবাকি দুই সংস্করণে সে অধিনায়কত্ব করবে কি করবে না, এটা সম্পূর্ণ ওর নিজের সিদ্ধান্ত।’
২০১৩ সালের পর ভারত কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। সবশেষ ২০১৩ সালে সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত। এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে শেবাগ বলেন এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেই বলেছেন সমাধান খুঁজে বের করতে, ‘আমি জানি, আমাদের উচিত দলের খারাপ সময়ে দলকে সাহায্য করা। কিন্তু প্রায় অনেক দিন ধরেই আমরা কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারছি না। ভারতের অবশ্যই উচিত এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে জয় পাওয়া ভালো ব্যাপার কিন্তু মানুষ আপনাকে তখনই মনে রাখবে, যখন আপনি নিয়মিত আইসিসি টুর্নামেন্টগুলো জিততে থাকবেন।’