ইতিহাস গড়েই ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই হয়েছে তারা। এমন অবস্থায় সবাই প্রশ্ন তুলেছেন, এটাই কি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বাজে ওয়ানডে দল? আর পরিসংখ্যান তো ইঙ্গিত দিচ্ছে আরও ভয়ংকর কিছুর। ওয়ানডে খেলছে এমন দলের মাঝে সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স এখন বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের!
ইংল্যান্ডের কাছে মাত্রই ধবলধোলাই হয়েছে বলে এমন কিছু বলা হচ্ছে না। স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারদের ছাড়া খেলতে নামা এই দল নিয়ে খুব একটা আশায় ছিলেন না কেউ। এ সুযোগে ইংল্যান্ডও গড়েছে ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড (৪৮১ রান)। কিন্তু বাস্তবতা হলো, স্মিথ-ওয়ার্নারদের নিয়েও এ দলটা খুব ভালো খেলছিল না। নিজেদের মাঠেই ইংল্যান্ডের কাছে ভরাডুবি হয়েছিল তাদের (৪-১)। এর আগে ভারতে এসেও একই ফল নিয়ে বাড়ি ফিরেছে তারা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও পেয়েছে সিরিজ হারের স্বাদ।
অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডেতে সর্বশেষ কোনো সিরিজে হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে সে সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডেতে জয়ের স্বাদ রীতিমতো ভুলে যেতে বসেছে দলটি। শেষ ২০ ম্যাচে ৪টি জয় পেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এখন ছয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। এত কম জয়ে তাদের সঙ্গী শুধুই শ্রীলঙ্কা। অথচ সর্বশেষ ২০ ম্যাচে ৯টি জয় আছে হংকংয়েরও। জিম্বাবুয়েরও আছে ৪৫ ভাগ সাফল্য। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড তো সাফল্যের হাসি হেসেছে ৫০ শতাংশ ম্যাচেই (১০)। আফগানিস্তান তো রীতিমতো চমকে দিয়েছে ১১ জয় দিয়ে।
সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়ার ঠিক উল্টো অবস্থা ‘ওয়ানডে খেলাটি বুঝতে পারে না’ তকমা লেগে যাওয়া ইংল্যান্ডের। গত ২০ ম্যাচে ১৫ জয়ে ওয়ানডেতে এখন শীর্ষ দল ইংলিশরা। ১৬ জয় নিয়ে তাদের ঠিক পরেই আছে ভারত।
সুসময়ে না পারলেও এখন বাংলাদেশ আদর্শ মানছে অস্ট্রেলিয়াকেই। বাংলাদেশ ওয়ানডেতে সর্বশেষ কোনো সিরিজ জিতেছে সেই ২০১৬ সালে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। শেষ ২০ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় এসেছে ৭টিতে। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাই শুধু বাংলাদেশের চেয়ে কম জয় পেয়েছে। বাংলাদেশের সমান জয় পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।