হেনরি নিকোলসের এ বছর কপাল বটে!
২০২০-২১ টেস্ট মৌসুমে অবিশ্বাস্য সৌভাগ্যের মুখ দেখছেন বাঁহাতি এই কিউই টপ অর্ডার। এ মৌসুমে তাঁর মতো পাঁচবার ‘জীবন’ পায়নি আর কেউ। কিছুদিন আগে ওয়েলিংটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিন ‘জীবন’ পেয়ে। সর্বশেষ মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের পথেও ‘জীবন’ পেয়েছেন। আর ‘জীবন’ পেলেন আজ।
৩ রানে থাকতে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হয়েছিলেন নিকোলস। কিন্তু আফ্রিদির সে বল আইনসিদ্ধ না হওয়ায় সেটি এই বিবেচনায় রাখা হয়নি। আজও কাজে লাগিয়েছেন প্রতিপক্ষের দেওয়া উপহার। কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি ও নিকোলসের সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়ায় ভর করে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ভালো অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিকেরা। ৩ উইকেটে ২৮৬ রান তুলে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে দ্বিতীয় দিন পার করেছে নিউজিল্যান্ড।
দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ১১২ রানে অপরাজিত কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। অন্য প্রান্তে ৮৯ রানে অপরাজিত নিকোলস। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেকে ১১ রানে পিছিয়ে স্বাগতিক দল। টেস্টে ৭ হাজার রানের তালিকায় জায়গায় করে নিতে উইলিয়ামসনেরও চাই আর মাত্র ১১। ১৪৪তম টেস্ট ইনিংসে এসে কাল উইলিয়ামসন তা করতে পারলে গতিতে টপকে যাবেন ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিংদের।
শাহিন আফ্রিদি ‘নো’ বলের ভুল না করলে প্রথম সেশনে তিন উইকেটের দেখা পেত পাকিস্তান। দুই ওপেনার টম লাথাম (৩৩) ও টম ব্লান্ডেল (১৬) বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। দ্বিতীয় সেশনের শুরুর দিকে ফিরেছেন রস টেলর (১২)। চতুর্থ উইকেটে নিকোলসের সঙ্গে ৩৪০ বলে ২১৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান উইলিয়ামসন। উইকেটে সেট হওয়ার সঙ্গে চওড়া হয়ে উঠেছে তাঁর ব্যাট। ৭৮ রানে অপরাজিত থাকতে নাসিম শাহর ওভারে ৪টি চার মেরে ৯৪ রানে পৌঁছে যান উইলিয়ামসন। এ মৌসুমে ঘরের মাঠে সব টেস্টেই সেঞ্চুরি পেলেন তিনি।
টেস্টে নিকোলসের সর্বশেষ চার ইনিংসে তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। কাল আর ১১ রান করলেই শেষ চার ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি হয়ে যাবে তাঁর। অথচ প্রতিপক্ষ দল এভাবে জীবন উপহার না দিলে চার ইনিংসেই পঞ্চাশের নিচে ফিরতে হতো। আর তখন দলে তাঁর জায়গা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেত। কিন্তু ভাগ্য এতটাই সহায় তাঁর যে দুর্দান্ত ব্যাটি ফর্মে উল্টো প্রশংসা জুটছে তাঁর।
ওদিকে কোনো প্রশ্ন না ইয়ুলে কীভাবে খেলতে হয়, সেখাচ্ছেন উইলিয়ামস্ন। কিউই অধিনায়কের ১৭৫ বলের ইনিংসে কোনো ছক্কা নেই। আছে ১৬টি চার। প্রথম সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরস্থির শুরু করেন উইলিয়ামসন। ফিফটি তুলে নিতে খেলেছেন ১০৫ বল। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়ায় পরের ৩৫ বলে পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা।
মোট সাত বোলার ব্যবহার করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪৫ রানে ১ উইকেট আফ্রিদির। ১টি করে উইকেট মোহাম্মদ আব্বাস ও ফাহিম আশরাফের।