ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবে বাংলাদেশ
ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবে বাংলাদেশ

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

এবার শুরুটা ভালো চায় বাংলাদেশ

পাকিস্তান দল বাংলাদেশে আসবে ১৫ নভেম্বর। এই সিরিজ দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসর শুরু হবে বাংলাদেশ দলের।

টি-টোয়েন্টির ডামাডোল চারদিকে। বাংলাদেশ দল টানা খেলল তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আগে সেটাই হওয়ার কথা অবশ্য। তবে নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল। যে ঘোষণা সামনে নিয়ে আসছে টেস্ট ক্রিকেটের আলোচনাও।

১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পরদিনই পাকিস্তান দল বাংলাদেশে আসবে তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৯ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ নভেম্বর। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু ২৬ নভেম্বর। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পরের টেস্ট ৪ ডিসেম্বর থেকে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসর শুরু হবে বাংলাদেশ দলের। প্রথম আসরে মুমিনুল হকদের পারফরম্যান্স ছিল খুবই হতাশাজনক। ৭টি টেস্ট খেলে জয়হীন বাংলাদেশ একটি ড্রয়ের সুবাদে মাত্র ২০ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছিল নবম।

ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত হাবিবুল বাশার
সবার আগে আমাদের ব্যাটিংটা ভালো করতে হবে। আগেরবার আমরা খারাপ করেছি ব্যাটিংয়ের জন্যই। বেশির ভাগ টেস্টে বাজে ব্যাটিং করেছি। বোলিং মোটামুটি হলেও ব্যাটিং বেশ খারাপই হয়েছে
হাবিবুল বাশার, জাতীয় দলের নির্বাচক

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে সে হতাশার পুনারবৃত্তি চায় না বাংলাদেশ। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সে জন্য একটা শর্তও বেঁধে দিয়েছেন মুমিনুলের দলের জন্য। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান সিরিজের সূচি ঘোষণার পর হাবিবুল বলেছেন, ‘আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে। একবার পিছিয়ে পড়লে ফিরে আসাটা কঠিন হয়ে যায়। শুরুটা ভালো হলে সেটাকে ধরে এগোতে হবে। প্রথম এক-দুটি টেস্ট জিতলেই দেখবেন পরের টেস্টগুলোতে আমরা ভালো করছি।’

শুরুর প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তান দলকে কঠিনই মনে হচ্ছে হাবিবুলের, ‘পাকিস্তান ভালো দল। গত কয়েকটি সিরিজে তারা ভালো খেলছে।’ সঙ্গে অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘অন্য দল নিয়ে ভাবার চেয়ে আমরা কী করছি, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের আসরের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে হাবিবুলের কথাটাই ঠিক মনে হবে। নিজেদের নিয়ে ভাবার আসলেই অনেক কিছু আছে বাংলাদেশের। পেছন ফিরে তাকিয়ে হাবিবুলও বলছিলেন, ‘গতবারের চক্রে আমরা প্রত্যাশার ধারেকাছেও যেতে পারিনি।’ এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘এর পেছনে কিছু কারণ ছিল। যেমন সেবার আমরা সবাইকে একসঙ্গে দলে পাইনি।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ডিসেম্বরে

তবে সে হতাশা ভুলে হাবিবুল এখন তাকাতে চান সামনের দিকে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের লক্ষ্যটাকে করতে চান ইতিবাচক। ‘হতাশা ঝেড়ে ফেলে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। নতুন করে শুরুর পরিকল্পনা করতে হবে। এবার আমাদের শুরুটা হচ্ছে ঘরের মাঠে, কাজেই ভালো কিছু চাই। আমার বিশ্বাস আমরা ভালো করব’—বলছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।

নতুন করে শুরুর পরিকল্পনায় প্রথমেই আসবে ব্যাটিং প্রসঙ্গ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে এই জায়গাতেই যে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল! নির্বাচক হাবিবুলের কথায়ও এল সেই প্রসঙ্গ, ‘সবার আগে আমাদের ব্যাটিংটা ভালো করতে হবে। আগেরবার আমরা খারাপ করেছি ব্যাটিংয়ের জন্যই। বেশির ভাগ টেস্টে বাজে ব্যাটিং করেছি। বোলিং মোটামুটি হলেও ব্যাটিং বেশ খারাপই হয়েছে।’

শুরুতে কথা ছিল, পাকিস্তান দলের বাংলাদেশ সফরটা হবে দুই ভাগে। প্রথমে টেস্ট সিরিজ খেলে তারা চলে যাবে, এরপর আবার এসে খেলবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরটা যেহেতু তখন টেস্ট সিরিজের পরপরই ছিল, সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিসিবিও চিন্তা করছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর। এমনকি নিউজিল্যান্ড সফর ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুটি আলাদা দল খেলানো যায় কি না, ভেবে দেখা হচ্ছিল সেটিও।

এখন অবশ্য সেসবের আর প্রয়োজন নেই। পাকিস্তান একবারে এসেই খেলে যাবে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ। বাংলাদেশও তাই পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড দুই সিরিজেই পাবে পূর্ণ শক্তির দল।