ভেন্যু পাল্লেকেলে, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা—গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জ্বলে উঠতে আর কী লাগে! ২০১৬ সালে এই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৫ বলে ১৪৫ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছিলেন। ছয় বছর পর একই ভেন্যুতে ১৪ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতেও সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দেন ৫১ বলে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে।
আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও সে পথেই এগোচ্ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ৪৩ ওভারে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২১৬ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে ম্যাক্সওয়েল জুটি অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এ যাত্রায় ম্যাক্সওয়েলকে আর বেশি দূর এগোতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের মোড়ও ঘুরে যায় তাতে। শেষ পর্যন্ত ২৬ রানের জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকেরা। ৪৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া চামিকা করুনারত্নে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
প্রথম ওয়ানডের মতো ভুল আজ করেনি লঙ্কানরা। ম্যাক্সওয়েলকে তাঁর পছন্দের স্পিন খেলতে দেননি লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। গতি দিয়ে এই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের পরীক্ষা নিয়েছে স্বাগতিকেরা। সেটি কাজেও দিয়েছে। করুনারত্নের বাউন্সারে পুল শট খেলতে গিয়ে ম্যাক্সওয়েল কাভারে ক্যাচ তুলে আউট হন ২৫ বলে ৩০ রান করে। ম্যাক্সওয়েলের ৫ বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংস শেষ হতেই আসলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশাও শেষ হয়ে যায়। দলীয় ১৭০ রানে ম্যাক্সওয়েল আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১৮৯ রানে।
এর আগে গতি দিয়ে লঙ্কানদের কাঁপিয়েছেন অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্স। আগে ব্যাট করা লঙ্কানরা ৪৭.৪ ওভারে ৯ উইকেটে তোলে ২২০ রান। কামিন্স ৮.৪ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু কুহনেম্যান ও ম্যাক্সওয়েল।
লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারের শীর্ষ ৮ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে গেছেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা হয়নি কারও। সর্বোচ্চ তিনে নামা কুশল মেন্ডিসের ৩৬ রান।