এখন আর ঘরের মাঠের বাঘ বলে ভারতকে আখ্যা দেওয়া যায় না। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে সিরিজ হারলেও, অধিকাংশ ম্যাচেই চোখে চোখ রেখে লড়েছে দলটি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তো ইতিহাসই রচনা করেছে বিরাট কোহলির দল। তাই বিশ্বকাপের ৬ মাস আগেই বিশ্বকাপে চোখ রাখছেন বিরাট কোহলি। রাখবেনই বা না কেন! যেই ফর্মে আছে ভারত, এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট হিসেবে বিবেচনা করা হবে তাদের।
গত বিশ্বকাপের পর থেকেই ভারত দুর্দান্ত খেলছে ওয়ানডেতে। বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ষোলোটি ওয়ানডে সিরিজ খেলে জয় পেয়েছে এগারোটিতেই। প্রতিপক্ষকে ধবল ধোলাই করেছে তিনবার। ওয়ানডের পারফরম্যান্স টেস্টেও টেনে এনেছে তারা। ৭১ বছরে যা পারেনি, সেই অসাধ্য কাজটিই করে দেখিয়েছে কোহলির ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই প্রথম টেস্ট জয় করেছে তারা। আর এই সাফল্যে খুবই খুশি ভারত অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাওয়া এই বাড়তি আত্মবিশ্বাসকে টেনে নিতে চান বহুদূর, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং মনে করছি যে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আমাদের দলটি খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। তিনটা সিরিজে প্রত্যেকবারই আমরা ফিরে এসেছি। আমি মনে সেটা দলকে শক্তিশালী করবে এবং সামনের দিকে বিশেষ করে বিশ্বকাপ যখন খুব কাছাকাছি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিটা গ্রুপে খেলোয়াড়রা জায়গা থেকে অবদান রাখলে তবেই বড় টুর্নামেন্ট জেতা যায়।’
ভারতের এ দলকে তাদের ইতিহাসেরই সেরা বলে মানছেন ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে, ‘এখন পর্যন্ত ভারতের যত দল অস্ট্রেলিয়ায় খেলেছে এসেছে, এই দলের সঙ্গে কারওরই তুলনা চলে না। এমন ঘটনা মাত্র দুবার ঘটেছে যে, কোনো দল অস্ট্রেলিয়ার মাঠে তাদের বিপক্ষে একই সঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে।’ পাঁচ ওয়ানডে, তিনটি টোয়েন্টি খেলতে ভারত এখন নিউজিল্যান্ড সফরে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে ইংল্যান্ড ২০১৯ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু হবে ভারতের।