শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন প্রায় ১৫ মাস বিরতির পর। মাঝের সময়টায় কখনো চোট, কখনো বা মেহেদী হাসান মিরাজের দলে উপস্থিতি বাইরে রেখেছে নাঈমকে। সেই মিরাজই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সময় চোট পাওয়াতে আবার সুযোগ পান নাঈম হাসান। সেই সুযোগটা কাজেও লাগিয়েছিলেন।
চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩০ ওভার বোলিং করে ১০৫ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ের সময় আঙুলে চোট পেয়ে তরুণ অফ স্পিনারের সিরিজ শেষ হয়ে যায়। চোটের কারণে জায়গা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সফরেও।
চিকিৎসা ও বিশ্রামের পর এখন অনেকটাই সুস্থ নাঈম। এক সপ্তাহ পর বোলিংয়ে ফিরবেন, আজ এমন আশার কথাই জানালেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এখন আগের থেকে অনেক ভালো। আরও সপ্তাহখানেক পর আবার দেখবে বলল। ১২ বা ১৫ তারিখ বোলিং শুরু করতে পারব, আশা করছি। এখন সাইক্লিং আর জিম করছি।’
চোটের সঙ্গে অনেক দিন ধরে লড়াই, ফেরার পর আবার চোটে পড়া—হতাশা ঘিরে ধরাই স্বাভাবিক। নাঈম অবশ্য ক্যারিয়ারের উত্থান–পতনের এ সময়টাকে শিক্ষা হিসেবে দেখতে চাইছেন।
চট্টগ্রাম টেস্টের মতো যেন পরবর্তী সুযোগও দুহাতে লুফে নিতে পারেন, সেই অপেক্ষায় আছেন তিনি, ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই। একজন স্পোর্টসম্যানের জীবনে উত্থান–পতন থাকবেই। চেষ্টা করব, আমি যখন ফিরব, তখন যেন আরও শক্তভাবে ফিরতে পারি। ইনজুরি তো আমার হাতেও ছিল না, কারও হাতেই ছিল না। শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমি এমনিতেই শুরুতে ছিলাম না। পরে আল্লাহ সুযোগ করে দিয়েছেন। এরপর খেললাম, ভালো খেললাম।’
নাঈমের দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইটা মূলত মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে। অভিজ্ঞতা ও ব্যাটিং দক্ষতায় এগিয়ে থাকায় মিরাজই স্বাভাবিকভাবে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রথম পছন্দ।
নাঈম অবশ্য এ নিয়ে বেশি না ভেবে নিজের কাজটা করে যেতে চান, ‘এখন আমার হাতে আছে শুধু পরিশ্রম করা। চেষ্টা থাকে সব সময় নিজেকে প্রস্তুত রাখার। যখনই সুযোগ আসবে, চেষ্টা থাকবে শতভাগ পারফরম্যান্স দেওয়ার। আবার সুযোগ পেলে আমার চেষ্টা থাকবে নিজে যেন শতভাগ দিতে পারি।’