>বাংলাদেশ দল দুই ভাগে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ভাগ রওনা হয়ে গেছে আজ। দ্বিতীয় বহর যাবে ৯ ফেব্রুয়ারি। এই যে বিদেশ সফর শুরু বাংলাদেশের, শেষ হবে জুনে বিশ্বকাপ দিয়ে। মাঝে নেই কোনো হোম সিরিজ। নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে তাই বিশ্বকাপ প্রস্তুতিই শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশের
অক্টোবর থেকে টানা চার মাস দেশের মাঠে সিরিজ-টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এবার মাশরাফি-সাকিবদের সামনে বিদেশের মাঠে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা দিতে আজ দলের একটা ভাগ রওনা দিয়েছে নিউজিল্যান্ডে। আরেক ভাগ যাবে বিপিএল ফাইনালের পরের দিন। নিউজিল্যান্ডে রওনা দেওয়ার আগে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস জানিয়ে গেলেন, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল এ সফর দিয়ে।
নিউজিল্যান্ড সফর শেষ হওয়ার দুই মাস পর বিশ্বকাপ। তার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে অবশ্য ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের মিল খোঁজা ঠিক হবে না। তবে এটা ঠিক, দুটিই কঠিন কন্ডিশন। ইংলিশ কন্ডিশনের তুলনায় বরং নিউজিল্যান্ড বেশি কঠিন। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের কিছু সুখস্মৃতি থাকলেও নিউজিল্যান্ডে নেই বললেই চলে।
এবার ভালো করতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ২০১৯ অভিযানে যাবে টগবগে আত্মবিশ্বাস আর বড় স্বপ্ন নিয়ে। এ কারণেই নিউজিল্যান্ডের ফ্লাইট ধরার আগে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস বলে গেলেন, ‘যদি আমরা বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে এগোই, এই সফরটা বলে দেবে বিশ্ব ক্রিকেটে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে। আপনারা জানেন, আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে (ত্রিদেশীয়) সিরিজটা হবে ঠিক বিশ্বকাপের
আগে। এই যে শুরু করলাম, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শেষ হবে ওই সিরিজ দিয়ে।’
২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছিল তিন সংস্করণের প্রতিটি সিরিজে। রোডসের আশা এবার অন্তত তাঁর ছাত্রেরা ভালো কিছু উপহার দেবেন, ‘সেখানে কিছু ম্যাচ জিততে পারলে খুবই ভালো হবে। সবশেষ সফরে নিজেদের প্রমাণ করা মোটেও সহজ ছিল না। তবে আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি। ওয়ানডেতে আমরা নিজেদের সেরাটাই খেলছি। টেস্ট অনেক কঠিন। দেশের বাইরে আগের তুলনায় এখন একটু ভালো খেলছি আমরা। আশা করি এবার টেস্টে ভালো কিছু হবে।’
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে বাংলাদেশ কতটা ভালো করতে পারে, সেটি সময় বলে দেবে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মতো পেস-সহায়ক কন্ডিশনে বাংলাদেশ কেন চার বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। স্পিন আক্রমণে দলের অন্যতম ভরসা মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত, ‘অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। উপমহাদেশে স্পিনাররা ভালো করে, বাইরে গেলে স্পিনারদের তেমন ভূমিকা থাকে না। এটা আমাদের নিজেদের সঙ্গে নিজেদেরই চ্যালেঞ্জ। আমরা স্পিনাররা যদি ভালো করতে পারি, দাপট দেখাতে পারি, তাহলে দল আরও বেশি সাহায্য পাবে। আমরা স্পিনাররা যদি পেসারদের সমর্থন করতে পারি, কাজটা সহজ হবে।’