দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করতে কাল রাতে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে বিসিবির হাইপারফরম্যান্স স্কোয়াড। ক্যাম্পের আট দিনই অবশ্য কাটবে অনুশীলন ম্যাচ খেলে। মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্থানীয় দলের সঙ্গে এইচপি দলের খেলার কথা পাঁচটি ৫০ ওভারের ও একটি তিন দিনের ম্যাচ। কিন্তু কাদের বিপক্ষে এই ম্যাচগুলো খেলবে তারা?
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ প্রশ্নটার উত্তর আগেও নিশ্চিত করে দিতে পারেনি। নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ই-মেইল চালাচালির সুবাদে তারা শুধু জানে, প্রতিপক্ষ দলটি গড়া হবে নর্দার্ন টেরিটরির স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে। দলে গত যুব বিশ্বকাপে খেলা অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কসহ কয়েকজন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারের খেলার কথা।
কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে সে দেশের ক্রিকেটারদের সাম্প্রতিক বিরোধের জেরে সেটিও এখন অনিশ্চিত। এত দিন সিএর আয়ের শতকরা ২৫ ভাগ বণ্টন হতো অস্ট্রেলিয়ার সব খেলোয়াড়ের মধ্যে। আর্থিক বণ্টনের প্রস্তাবিত নতুন কাঠামো অনুসারে এই টাকা পাবেন শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা। এমন শর্ত মানতে পারেননি খেলোয়াড়েরা। তাই সই করেননি নতুন চুক্তিতে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা তাই কাল থেকে বেকারই হয়ে গেছেন।
অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে নর্দার্ন টেরিটরির দলে প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়দের খেলাও। এইচপি দলের বিপক্ষে কি খেলবেন ‘বেকার’ হয়ে যাওয়া খেলোয়াড়েরা? হোক অনুশীলন ম্যাচ, জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে গড়া বিসিবির এইচপি দলের প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দেরও তো ন্যূনতম একটা পরিচিতি থাকা দরকার! বর্তমান পরিস্থিতিতে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন মনে হলো বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক এ ই এম কাউসারকেও, ‘প্রতিপক্ষ আঞ্চলিক দলটাতে কয়েকজন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার থাকবেন, তাঁদের সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক খেলবেন; এ রকমই বলা হয়েছিল আমাদের। কিন্তু এই অবস্থায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা খেলবেন কি না, সেটি আমাদের খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’
৫০ ওভারের অনুশীলন ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১১ জুলাই। তিন দিনের ম্যাচ ১৩ থেকে ১৫ জুলাই।
এইচপি স্কোয়াড: এনামুল হক, সাইফউদ্দিন, লিটন দাস (অধিনায়ক), তানভীর হায়দার, মেহেদী হাসান সিদ্দিকী, ইমতিয়াজ হোসেন, আবু হায়দার, আবু জায়েদ চৌধুরী, নাজমুল হোসেন শান্ত (সহ-অধিনায়ক), এবাদত হোসেন, তাসামুল হক, আবুল হাসান, ইরফান শুক্কুর, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নিহাদ-উজ-জামান ও জুবায়ের হোসেন। স্ট্যান্ড বাই: সাদমান ইসলাম, হোসেন আলী, ইমরান আলী ও আল আমিন।