>জাতীয় লিগে চট্টগ্রামের দুই ইনিংসেই ভালো শুরু পেয়ে মাহমুদউল্লাহর ঘূর্ণিতে আউট হয়েছেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস এবার জাতীয় লিগে তুলে নিয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরি
জাতীয় লিগে বোলিংয়ের ধার ফিরে পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ? তামিম ইকবাল বলতে পারেন, সে তো বটেই। খেটেখুটে ইনিংস গড়ে দুবার একই বোলারের কাছে আউট হলে আর কি বলার থাকে!
বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলেননি। ছুটি নিয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। এবার জাতীয় লিগ দিয়ে ফিরেছেন ক্রিকেটে। খেলছেন নিজের বিভাগ চট্টগ্রামের হয়ে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরে চার দিনের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোপলিসের মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম। দলের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো শুরু পেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু দুবারই তাঁর এই ভালো শুরু হতাশায় শেষ হয়েছে মাহমুদউল্লাহর ঘূর্ণিতে।
আজ শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে চট্টগ্রাম। ১১২ বলে ৪৬ রান তুলে ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথম ফিফটি তুলে নেওয়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম। কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে ইনিংসের ৩৮তম ওভারে। মাহমুদউল্লাহর বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন বাংলাদেশের এ ওপেনার। ৪টি চার ও ১ ছক্কায় সাজানো এ ইনিংসে প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হতাশই হতে হলো তামিমকে।
দলের প্রথম ইনিংসেও ভালো শুরু পেয়েছিলেন তামিম। ১০৫ বলে ৩০ রান তুলে সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন বড় ইনিংস খেলার। কিন্তু সেবার ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১২৭ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। দলটি ৬৩ রানের লিড পেলেও ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আজ শেষ দিনে এখনো এক ইনিংস বাকি রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিসের।
চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া মাহমুদউল্লাহ দলটির দ্বিতীয় ইনিংসেও এ পর্যন্ত ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। মেট্রোপলিসের এ স্পিনার জাতীয় দলে বোলিংয়ে নিয়মিত না হলেও ঘরোয়ায় বল হাতে এবার ভালো শুরু পেয়েছেন। এদিকে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস এবার জাতীয় লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। খুলনায় রংপুর বিভাগ ও স্বাগতিকদের মধ্যকার ম্যাচে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন ইমরুল।
আগে ব্যাট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছিল রংপুর বিভাগ। জবাবে খুলনার হয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংসই খেলছেন ইমরুল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪২ বলে ১৪৪ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ইমরুলের ১৮তম সেঞ্চুরি। ৮ উইকেটে ৩৮২ রান তুলেছে খুলনা (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)।