>সেন্ট লুসিয়া টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২১ রানে ১৩ উইকেট পেয়েছেন গ্যাব্রিয়েল। আর এতেই রেকর্ড বইয়ের বেশ কিছু অধ্যায়ে নাম উঠে গেছে তাঁর।
চতুর্থ দিনে ভালো অবস্থানে থেকেও ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটা বাঁচিয়ে ফেলেছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। তবে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট, ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়া গ্যাব্রিয়েল বাংলাদেশকেও যেন একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রাখলেন। আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
৬২ রানে ৮ উইকেট পেয়েছেন গ্যাব্রিয়েল, তবু শ্রীলঙ্কার স্কোরটা মন্দ হয়নি দ্বিতীয় ইনিংসে। শ্রীলঙ্কা অলআউট হওয়ার আগে করেছে ৩৪২ রান। শেষ দুই সেশনে ২৯৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ক্যারিবীয়রা করতে পারে ৫ উইকেটে ১৪৭। ম্যাচ ড্র হলেও চওড়া হাসি গ্যাব্রিয়েলের মুখে। রেকর্ড বইয়ের বেশ কিছু অধ্যায়ে যে নাম উঠে গেছে এই ক্যারিবীয় পেসারের।
ম্যাচে গ্যাব্রিয়েল পেয়েছেন ১২১ রানে ১৩ উইকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজে এক টেস্টে এটাই সেরা বোলিং। আগের রেকর্ডটি ছিল মাখায়া এনটিনির, ২০০৫ সালে পোর্ট অব স্পেনে ১৩২ রানে পেয়েছিলেন ১৩ উইকেট। ক্যারিবীয়দের হয়ে নিজেদের মাঠে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি ছিল কোর্টনি ওয়ালশের। ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রানে পেয়েছিলেন ১১ উইকেট। গ্যাব্রিয়েল দুটি উইকেট বেশি পেলেন।
দেশ-বিদেশ মিলে এক টেস্টে ক্যারিবীয়দের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা মাইকেল হোল্ডিংয়ের। ১৯৭৬ সালে ওভালে ১৪৯ রানে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলিং কিংবদন্তি। এরপরই আছেন কোর্টনি ওয়ালশ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫ রানে পেয়েছিলেন ১৩ উইকেট। হোল্ডিং-ওয়ালশের পরই আছেন গ্যাব্রিয়েল। ২৩ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলার ম্যাচে ১৩ উইকেট পেলেন! আর ২৮ বছর পর ইনিংসে ৮ উইকেট পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো পেসার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ম্যাচে ১০ উইকেটের বেশি পেয়েছেন এমন বোলারদের মধ্যে স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে ভালো গ্লেন ম্যাকগ্রার, ১৪.৪। এরপরই জায়গা করে নিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল, ১৬.৯। অনেক দিন পর গ্যাব্রিয়েল যেন ফাস্ট বোলারদের মুখও উজ্জ্বল করলেন। ২০০১ সালে চামিন্ডা ভাস ম্যাচে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৭ বছর পর কোনো ফাস্ট বোলারের বোলিং ফিগার এমন দুর্দান্ত হলো। গ্যাব্রিয়েলের আরও ভালো লাগবে যখন শুনবেন, রিচার্ড হ্যাডলির পর ডান হাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে তিনি ১৩ উইকেট পেলেন!
গ্যাব্রিয়েলের এত এত রেকর্ড শুনে বাংলাদেশের অবশ্য ভালো লাগার কথা নয়! আগামী মাসেই যে তাঁকে খেলতে হবে সাকিব-তামিমদের। শ্রীলঙ্কানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়ে গ্যাব্রিয়েল যেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জানিয়ে রাখলেন, ‘চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি হও’!
আগামী ৪ জুলাই অ্যান্টিগায় শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ দুই টেস্টের সিরিজ।