ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়নি, তবে পেছাতে পারে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সফরটি অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেওয়া যায় কি না, দুই বোর্ডের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এর আগে আজ ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছিল, অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ইংল্যান্ড দলের। ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বাংলাদেশ সফরটি স্থগিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
ঠিক কী কারণে সফর স্থগিত হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত না বললেও তারা লিখেছে, সফর স্থগিত হওয়ায় ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলার সুযোগ পেতে পারেন।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী অবশ্য আজ রাতে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেছেন, ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হওয়ার খবরটি সঠিক নয়, ‘সফর স্থগিত হয়নি। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দুই দলেরই খেলা বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে সিরিজটি বিশ্বকাপের পর আয়োজন করা যায় কি না, তা নিয়ে ইসিবির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’ প্রস্তাবটা ইসিবি থেকে এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের পর দুই দলের জন্য সুবিধাজনক ফাঁকা সময় পেলেই কেবল সিরিজ পেছাতে পারে। আর সিরিজে যেহেতু ওয়ানডেও আছে, পরিবর্তিত সময়টা হতে হবে আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগের বর্তমান চক্রের মধ্যে।
সে রকম ফাঁকা সময় পাওয়া না গেলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পূর্বনির্ধারিত সময়েই হয়ে যাবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ‘সিরিজ স্থগিত হওয়ার কোনো আলোচনা হয়নি। সিরিজটি বিশ্বকাপের পর গেলেও আগে আমরা নিশ্চিত হব, সেটি কখন হতে পারে। দুই দলের জন্য সে রকম ফাঁকা সময় পাওয়া না গেলে পূর্বনির্ধারিত সময়েই ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশে আসবে। তাদের সঙ্গে আমাদের সে রকমই কথাবার্তা চলছে’—বলেছেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
বিশ্বকাপের পর দুই দলের জন্য সুবিধাজনক ফাঁকা সময় পেলেই কেবল সিরিজ পেছাতে পারে
জিম্বাবুয়েতে এক টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে কাল থেকে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এরপর এ মাসের ২৪-২৫ তারিখে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা নিউজিল্যান্ড দলেরও। প্রস্তুতি ম্যাচসহ তাদের সফরটি হবে প্রায় দুই সপ্তাহের।
ইংল্যান্ড সিরিজটি শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজই হবে বাংলাদেশের শেষ সিরিজ।