ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল স্কটল্যান্ড

ম্যাক্লাউডের ১৪০ রানের ওপর ভর করে স্কটল্যান্ড ৩৭১ রানের বিশাল সংগ্রহে পৌঁছায়। ছবি: রয়টার্স
ম্যাক্লাউডের ১৪০ রানের ওপর ভর করে স্কটল্যান্ড ৩৭১ রানের বিশাল সংগ্রহে পৌঁছায়। ছবি: রয়টার্স

এডিনবার্গে চরম নাটকীয় এক ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক স্কটল্যান্ড। জয়ের কিনারায় পৌঁছে ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হয়ে গেলে জয়ের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে স্কটল্যান্ড ৩৭১ রানের বড় সংগ্রহ অর্জন করে। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জয়ের লক্ষ্যে ঠিকমতোই এগোচ্ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানো স্কটিশদের সামনে ৩৬৫ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ।
শেষ দুই ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১১ রান। হাতে ২ উইকেট থেকেও যেটা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আদিল রশিদ রান আউটের শিকার হলে হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে উড যখন সাজঘরে ফেরেন ততক্ষণে ইংল্যান্ড অলআউট। অন্য প্রান্তে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান প্লাঙ্কেটের ৪৫ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংসটা বিফলেই গেল তখন।

জনি বেয়ারস্টোকে ও জেসন রয়ের উদ্বোধনী জুটির শক্ত ভিত কিংবা বোয়ারস্টোকের শতক কোনোটাতেই শেষ রক্ষা হয়নি ইংল্যান্ডের। ছবি: রয়টার্স

স্কটিশদের শুরুটা হয়েছিল চমৎকার। ওপেনার ম্যাথু ক্রস ও কাইল কোয়েটজার ৮২ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ৪৯ বলে ৫৮ রান করেন অধিনায়ক কোয়েটজার। আরেক ওপেনার ক্রস ফেরেন ৩৯ বলে ৪৮ রান করে। কোয়েটজার আউট হন রশিদের বলে আর ক্রস শিকার হন প্লাঙ্কেটের।

স্কটল্যান্ডের ক্যালাম ম্যাক্লাউড তিন নম্বরে নেমে ৯৪ বলে ১৪০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। স্কটল্যান্ডের হয়ে এর আগেই ৬টি শতক আছে এই ব্যাটসম্যানের। যেগুলোর ৩টিই দেড় শ ছড়িয়েছে। কে জানে, রোববারের এই ম্যাচেও হয়তো দেড় শ পার হতো। তাঁকে যে কেউ থামাতে পারেননি। অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন ম্যাক্লাউড। ম্যাক্লাউডের ১৪০ রানের ওপর ভর করে স্কটল্যান্ড ৩৭১ এর বিশাল সংগ্রহে পৌঁছায়।
অন্যদিকে ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ৫৯ বলে ১০৫ রানের মারকুটে ব্যাটিং ছিল স্কটল্যান্ডের প্রতি ইংল্যান্ডের দাঁতভাঙা জবাব। শেষ পর্যন্ত যদিও এই জবাব কাজে আসেনি। বেয়ারস্টোকে সঙ্গ দেন আরেক ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন মিলে ৭৬ বলে তোলেন ১২৯ রান। এত ভালো শুরু, শক্ত ভিতের পরেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইংল্যান্ডকে।