পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার পর নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাবর আজম। নিজেকে ইমরান খানের ধাঁচে গড়ে তুলতে চান। আক্রমণাত্মক অধিনায়ক হওয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে নিজেকে আরও সাবলীল ও পরিশীলিত প্রমাণ করতে ইংরেজি শেখার কথাও বলেছেন। এমন কথাবার্তা আবার ভালো লাগেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'জ্ঞান বিতরণের অগ্রদূত' শোয়েব আখতার ও রশিদ লতিফের।
ক্রিকেট বা অন্য যেকোনো বিষয়েই কিছু দিন পরই আলোচনার জন্ম দেওয়া মন্তব্য করার অভ্যাস শোয়েব ও লতিফের। করোনাকালে এ দুজন যেন প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনাম হওয়ার। ব্যাটিংয়ে বিশ্বের সেরাদের কাতারে নাম লেখানো বাবর ইংরেজিতেও পারঙ্গম হতে চাইছেন, যেন দল ও নিজের কথা পরিস্কারভাবে সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা যায়। এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগেও সমস্যা খুঁজে নিয়েছেন শোয়েব ও রশিদ লতিফ।
আখতারের ধারণা, সাবেক খেলোয়াড় তানভীর আহমদের কথামতো এভাবে ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ হতে চেয়ে নিজেকে খেলো করেছেন বাবর, 'বাবর ইমরান খানের মতো অধিনায়ক হতে চায় কিন্তু এর মানে এটা নয় যে সেটা শুধু ক্রিকেট খেলাতেই আটকে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ইমরানের কাছ থেকে ব্যাক্তিত্বও শিখতে হবে তাঁকে। গত ১০ বছর ধরে আমরা যা জানি সে ব্যাপারে কথা বলো না। আমরা এসব যুক্তি মানব না। বাবরকে যোগাযোগ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যাক্তিত্ব শানিত করতে হবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে, ফিটনেস বাড়াতে হবে। আমার মনে হয়, ওর অনেক কিছুই প্রমাণ করা বাকি।'
ক্রিকেট প্যাশনের কাছে রশিদ লতিফ জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভের কথা। নিজের অবস্থান স্পষ্টভাবে না জানিয়ে ইংরেজি জ্ঞান আর বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা নিয়ে কথা বলা পছন্দ হয়নি সাবেক উইকেটরক্ষকের, 'সংবাদ সম্মেলনে নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানানোর সুযোগ ছিল অধিনায়কের, কিন্তু সেটা দেখিনি। আমাদের অধিনায়ক পত্রিকার শিরোনাম উপহার দিচ্ছে ভাষাগত সমস্যার কথা বলে। সে কথা বলছে আমরা আগে থেকেই যা জানি সেসব বিষয়ে, যেমন কোহলির সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গ। ওকে যে চিত্রনাট্য শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা অনুসরণ না করে নিজের শক্ত অবস্থান জানাতে পারত। এরই মধ্যে মানসিক অবস্থা ও পরিকল্পনার শক্তি দেখিয়ে দিয়েছ তুমি। এবং তাতে বোঝা যাচ্ছে এখনো মান সম্পন্ন নয় সেটা।'