>বিপিএলে আজ খুলনা টাইটানসকে ৫৮ রানে হারিয়ে প্লে অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল সিলেট সিক্সার্স
জয় ছাড়া টিকে থাকার পথ নেই। সিলেট সিক্সার্সের সামনে ছিল এমন সমীকরণ। অন্যদিকে খুলনা টাইটানসের কোনো আশা নেই। প্লে অফ পর্বে ওঠার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে দলটির। এ হিসেবে খুলনা চাইবে ছিটকে পড়ার আগে আরও দু-একটি দলের পতন নিশ্চিত করতে। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তো এটাই সার কথা। বিদায় নিশ্চিত জেনেও ভালো খেলার চেষ্টা করা। কিন্তু খুলনা তা চেষ্টা করেও পারল না।
জয়ের জন্য ১৯৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল সিলেট। ৬ ওভারের মধ্যে খুলনা জুনায়েদ সিদ্দিকি ও আল-আমিনকে হারালেও স্কোরবোর্ডে উঠেছিল ৬৪ রান। অর্থাৎ রান রেট ঠিকই ছিল দলটির। কিন্তু পরের ৪ ওভারের মধ্যে আরও দুটি উইকেট পরায় মন্থর হয়ে আসে রানের গতি। এরপর খুলনা তো ছিটকে পড়ল ম্যাচ থেকেই। শেষ ৩০ বলে দরকার ছিল ৭৯ রান, হাতে শেষের চার ব্যাটসম্যান। এরপর খুলনা আর জিতবে কীভাবে! এমনকি পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি দলটি। ১১ বল হাতে রেখেই গুটিয়ে গেছে ১৩৭ রানে।
৫৮ রানের এই জয়ে প্লে অফ পর্বে ওঠার আশা টিকিয়ে রাখল সিলেট। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দলটি উঠে এল টেবিলের পাঁচে। আর ১০ ম্যাচে মাত্র ২ জয়ের মুখ দেখা খুলনা পরে রইল টেবিলের তলানিতেই।
বিপিএলে এবার বেশ ভালো ধারাবাহিক জুনায়েদ আজ তেমন ভালো করতে পারেননি। ২০ রান করে ফিরেছেন এই ওপেনার। খুলনার ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৪ রান এসেছে ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাট থেকে। ২৩ বলের এই ইনিংসে ১ ছক্কা ও ৩টি চার মারেন তিনি। মিডলঅর্ডার থেকে শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আজ তেমন কোনো স্কোর পায়নি খুলনা। ১১ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ২১ বলে ২৪ রান করা আরিফুল হক শেষ দিকে স্রোতের বিপরীতে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে।
সিলেটের হয়ে আজ ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার নাবিল সামাদ। পেসার তাসকিন আহমেদ ৭ বলে (১.১ ওভার) নিয়েছেন ২ উইকেট। এবার বিপিএল দুর্দান্ত কাটছে তাসকিনের। ১০ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে তিনি-ই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।