শ্রীলঙ্কার আরও একটি উইকেটের পতন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস
শ্রীলঙ্কার আরও একটি উইকেটের পতন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস

চট্টগ্রাম টেস্ট

আশা জাগানিয়া সেশনে বাধা চান্ডিমাল-ডিকভেলা

তাইজুল ইসলাম তাঁর কাজটা ঠিকই করে যাচ্ছেন। গতকাল বিকেলের পর আজ সকালের সেশনেও আশা জাগানো বোলিং করেছেন তিনি। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার দ্বিতীয় সেশনেও উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় সেশনে তাঁর সঙ্গে একটি উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসানও। দ্বিতীয় সেশনে ১৩ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে একটা পর্যায়ে বিপদেই ফেলে দেয় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনের পানি পানের বিরতির আগেই ১৬১ রানে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আশা জেগেছিল বাংলাদেশ শিবিরে-শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে চতুর্থ ইনিংসে হয়তো জয়ের জন্য দৌড়াতে পারবেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা। কিন্তু মুমিনুল হকদের সেই আশায় বাধা হয়ে দাঁড়ান দিনেশ চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকভেলা।

কুশল মেন্ডিসকে আউট করে তাইজুল ইসলামের উচ্ছ্বাস

৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে এখন পর্যন্ত নিরাপদে রাখতে পেরেছেন তাঁরা। তাঁদের এ জুটিতে ভর করেই ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে শ্রীলঙ্কা। চান্ডিমাল ৭৮ বলে ১৪ রান করে উইকেটে আছেন। তাঁর সঙ্গী ডিকভেলা অপরাজিত আছেন ৪৯ বলে ৩২ রান করে।

কাল চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। ওশাদা ফার্নান্ডোকে রান আউট করে নাইট ওয়াচম্যান লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকেও তুলে নেন তাইজুল। আজ সকালের সেশনে কুশল মেন্ডিসের পর বাাঁহাতি এই স্পিনার ফিরিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে।

দনাঞ্জয়াকে আউটের পর সাকিবকে নিয়ে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস

মিডল ও অফ স্টাম্পের মাঝামাঝি বাতাসে ভাসানো গুড লেংথের অসাধারণ এক বলে মেন্ডিসকে বোল্ড করে ফেরান তাইজুল। আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৪৮ রান করেছেন মেন্ডিস। আর ম্যাথুসকে ফেরাতে অসাধারণ এক ফিরতি ক্যাচ নিয়েছেন তাইজুল। ১৫ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন ম্যাথুস।

তৃতীয় সেশনেও তাইজুল আবারও আশা জাগিয়ে তোলেন। সেশন শুরুর চতুর্থ ওভারেই তিনি ফেরান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে। তবে তাইজুলের এই উইকেটটির কৃতিত্ব দিতে হবে মুমিনুল হককেও। মিড উইকেটে অসাধারণ এক ক্যাচই যে নিয়েছেন তিনি। সেশনের ১৩তম ওভারে দনাঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরান সাকিব আল হাসান। এই দুই উইকেটে আশা জেগেছিল বাংলাদেশ দলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চান্ডিমাল ও ডিকভেলার প্রতিরোধের দেয়ালে আর ফাটল ধরাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।