বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ড্রাফট হচ্ছে আজ। নিলামে অংশ নিচ্ছেন ১৫৭ ক্রিকেটার। খেলোয়াড়দের ভাগ করা হয়েছে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’—এই চার শ্রেণিতে। আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, জুনায়েদ সিদ্দিক, এনামুল হক জুনিয়রের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরা পড়েছেন সবার নিচের ‘ডি’ শ্রেণিতে, যাঁদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ৪ লাখ টাকা।
এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে জায়গা পেতে খেলোয়াড়দের দিতে হয়েছে ফিটনেস পরীক্ষা। রাজ্জাক, আশরাফুল, শাহরিয়ার কিংবা এনামুল—প্রত্যেকে তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফিটনেস টেস্টে ভালো করেছেন। বিসিবির বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড পেরিয়েছেন সবাই। অনেক তরুণ খেলোয়াড় ‘বি’ কিংবা ‘সি’ শ্রেণিতে জায়গা করে নিলেও লম্বা ক্যারিয়ার, অভিজ্ঞতা থাকার পরও আশরাফুল-রাজ্জাকরা কেন ‘ডি’ শ্রেণিতে, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘কারণ, পারফরম্যান্স। সর্বশেষ এক বছরের পারফরম্যান্স দেখা হয়েছে। গত বিপিএলের পারফরম্যান্স দেখা হয়েছে।
খেলোয়াড়দের শ্রেণি করে দিতে এটাই আমাদের কাছে সেরা উপায় মনে হয়েছে। শুধু নাম কিংবা অভিজ্ঞতা দেখে শ্রেণি করা হয়নি। এ কারণে দেখুন সাব্বির রহমানকে “সি” শ্রেণিতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরিফুল হক চলে গেছে “ডি” শ্রেণিতে। নাসুম আহমেদ আবার “সি” শ্রেণিতে উঠে এসেছে।’
ভবিষ্যতেও খেলোয়াড়দের শ্রেণীকরণে যে পারফরম্যান্সকেই বেশি মূল্যায়ন করা হবে সেটি জোর দিয়ে বলছেন হাবিবুল, ‘এ ব্যাপারে আমরা কঠোর হচ্ছি। বয়স-অভিজ্ঞতা দিয়ে হবে না, পারফরম্যান্স ভালো না করলে ওপরের শ্রেণিতে থাকা যাবে না।’
শুধু ড্রাফটে নাম তুলতে পারলেই টুর্নামেন্ট খেলা নিশ্চিত নয়, সেটা তো জানাই। দুপুরের নিলামে প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ১৬জনের স্কোয়াড গড়তে পারবে। কে কোন দলে সুযোগ পাচ্ছেন, আগে থেকে বলা কঠিন। তবে রাজ্জাক দল পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী, ‘চ্যালেঞ্জ ক্যারিয়ারজুড়েই ছিল। যত দিন খেলব, এটা থাকবে। ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছি নিলামে নাম তোলার জন্য। সেটি উতরে গেছি। আল্লাহ চাইলে দলও পাব আশা করি।’