আবাহনীর প্রথম তিন ম্যাচের তিন জয়েই অবদান ছিল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। কাল চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে মুশফিক ব্যর্থ হয়েছিলেন, হারে আবাহনীও। সেই মুশফিক আজ আবার ফিরেছেন স্বরূপে, পেয়েছেন রান। আর তাতে জয়ের ধারায় ফিরেছে আবাহনীও।
তবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাহমুদউল্লাহর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে জয়ের পথটা আজ একা পাড়ি দিতে হয়নি মুশফিককে।
সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেনকেও। দুজনের অপরাজিত ফিফটি আর ১০৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির সৌজন্যে আবাহনী ম্যাচ জিতেছে ৭ উইকেটে।
গাজী গ্রুপের ওপেনার সৌম্য সরকার পরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি করেছেন। ৫০ বলে ৬৭ রান এসেছে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। সৌম্যের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার মেহেদী হাসান করেছেন ৩২ বলে ৪৩ রান।
কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় গাজী গ্রুপের রান প্রত্যাশিতভাবে বাড়েনি। তারা থেমেছে ১৫০ রানে। আবাহনী সেই রান পেরিয়ে যায় ১৮ ওভারেই। মুশফিক ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কায়।
মোসাদ্দেক হোসেন ছিলেন আরেকটু আগ্রাসী। ২৮ বলে ৫০ রান করেছেন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায়। দুজনের ১০৫ রানের জুটিতে ১৮ ওভারেই আবাহনী ম্যাচ জেতে ৭ উইকেটে। ম্যাচসেরা যথারীতি মুশফিক।
বিকেএসপিতে বিকেলের ম্যাচে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক জিতেছে সহজেই। প্রাইম ব্যাংকের বোলিং আক্রমণটা সাজানো একঝাঁক জাতীয় দলের তারকা নিয়ে।
আজ প্রতিপক্ষ শেখ জামালকে দাঁড়াতেই দেননি রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম ও নাঈম হাসানরা। তাঁদের সামনে শেখ জামাল ৬ উইকেটে করে ১৩৪ রান।
পরে রনি তালুকদার, তামিম ও এনামুল হক মিলে প্রাইম ব্যাংককে জিতিয়েছেন ৭ উইকেটে। বিকেলে বিকেএসপির অন্য মাঠে পারটেক্সকে ৩৩ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।