বছর ঘুরে আবারও আইসিসির মাস–সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন পেলেন মুশফিকুর রহিম। মে মাসের জন্য ছেলেদের ক্রিকেটারের তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এর আগে গত বছর মে মাসেই এ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার পর মুশফিক সেরাও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০২২ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মাস–সেরার মনোনয়ন পেলেন মুশফিক। গত জানুয়ারিতে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকায় এসেছিলেন পেসার ইবাদত হোসেন। যদিও শেষ পর্যন্ত পুরস্কার জেতেননি। এখন পর্যন্ত মুশফিক ছাড়া বাংলাদেশ থেকে এই পুরস্কার জিতেছেন সাকিব আল হাসান, গত বছরের জুলাইয়ে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের পারফরম্যান্সই সংক্ষিপ্ত তিনে ঢুকিয়ে দিয়েছে মুশফিককে। বাকি দুজনই শ্রীলঙ্কান—অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও পেসার আসিথা ফার্নান্ডো। এই দুজনের মনোনয়নের মূলেও বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পারফরম্যান্স।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০৩ রান করেছিলেন মুশফিক। চট্টগ্রামের পর শতক পেয়েছিলেন মিরপুরেও। এতে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরেও উঠে আসেন।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে তাঁর ১০৫ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে লিড নিতে সহায়তা করে, যদিও সেই টেস্টটি ড্র হয়। মিরপুরে পরের টেস্টে মুশফিকের পারফরম্যান্স ছিল আরও দুর্দান্ত। এক সময় ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ, সেখান থেকে লিটন দাসের সঙ্গে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি।
মুশফিকের মতো দুই টেস্টেই শতক পেয়েছিলেন ম্যাথুসও। সিরিজের সর্বোচ্চ ৩৪৪ রান ছিল তাঁরই। প্রথম টেস্টে ১৯৯ রানে আউট হয়ে যান, তবে বলতে গেলে বাংলাদেশকে জয় বঞ্চিত করেন তিনিই। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর ১৪৫ রানের ইনিংসে জয়ের ভিত পায় শ্রীলঙ্কা। ম্যাথুসের মতো উজ্জ্বল ছিলেন পেসার আসিথা ফার্নান্ডোও। প্রথম টেস্টে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সিরিজ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর।
মে মাসে মেয়েদের মাস–সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন পাকিস্তানের তুবা হাসান ও বিসমাহ মারুফ, জার্সির ট্রিনিটি স্মিথ। অভিষেক সিরিজেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজসেরা হয়েছেন লেগ স্পিনার তুবা। ওই সিরিজে সর্বোচ্চ রান ছিল পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমাহর। অন্যদিকে ফ্রান্স, স্পেন ও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে জার্সির চার জাতির সিরিজে দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ছিল স্মিথের। তুবার মতো তাঁরও অভিষেক সিরিজ সেটি।