বিশ্বকাপের ফাইনাল অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়েছিলেন বেন স্টোকস। এরপর বীরত্ব দেখিয়েছিলেন গত বছরের অ্যাশেজ সিরিজে। তাঁর অসাধারণ এক ইনিংসেই হেডিংলি টেস্ট জিতেছিল ইংল্যান্ড। ড্র করতে পেরেছিল অ্যাশেজ। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ওল্ড ট্রাফোর্ডেও আরেকবার দেখা গেল স্টোকস-বীরত্ব। এবার অবশ্য তাঁর সঙ্গে সঙ্গত দিয়েছেন ডম সিবলি।
শুরুর ধাক্কা সামলে প্রথম দিনটা স্টোকস ও সিবলি হাসিমুখেই শেষ করেছিলেন। বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন, তাঁরা রাঙাবেন দ্বিতীয় দিনও। তা তাঁরা পেরেছেনও। দুজনই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। জোড়া সেঞ্চুরিতে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়ার দিকে হাঁটছে ইংল্যান্ড।৩ উইকেটে ২০৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড খুব সাবধানে এগিয়েছে প্রথম সেশনে। সিবলি-স্টোকসের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটি এই সময়ে যোগ করেছে ৫৭ রান। লাঞ্চে যাওয়ার আগের ওভারেই সিবলি পেয়ে যান টেস্টে তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কে পৌঁছাতে খেলেছেন ৩১২ বল।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে সিবলি যদি স্তুতিতে ভাসেন, স্টোকসের জন্য আলাদা একটু পুরস্কারই রাখা উচিত। ইংলিশ অলরাউন্ডারকে অবশ্য লাঞ্চটা সারতে হয়েছে সেঞ্চুরির 'টেনশন' নিয়ে। ৯৯ রানে অপরাজিত স্টোকস মধ্যাহ্নভোজ থেকে ফেরার খানিক পরই তুলে নিয়েছেন টেস্টে দশম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরিটাও রোস্টন চেজকে রিভার্স সুইপ মেরে। সেঞ্চুরি উদ্যাপনে স্মরণ করেছেন বাবাকে।
চেজের শিকার হয়ে সিবলি ১২০ রানে থামলেও স্টোকস ইস্পাতদৃঢ়তায় এগিয়ে গেছেন আরও সামনে। তার আগে ৫৬৮ বলে দুজনের ২৬০ রানের জুটি ইংল্যান্ডের মুখে এনে দিয়েছে বিস্তৃত হাসি। চেজের আরেক শিকার হওয়ার আগে স্টোকস যখন ফিরলেন, ততক্ষণে নামের পাশে যোগ হয়ে গেছে ১৭৬ রান। সিবলি পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৫টি। স্টোকসের ব্যাট থেকে সেখানে এসেছে ১৭টি চার আর ২টি ছক্কা। এরপরও তাঁর স্ট্রাইক রেট ৫০-এর ওপরে ওঠেনি। খেলেছেন ৩৫৬ বল, যেটি তাঁর সবচেয়ে দীর্ঘতম ইনিংস। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যিনি স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটান, সেই তিনি টেস্টে কতটা সংযমের পরিচয় দেন!স্টোকস-সিবলির প্রতিরোধ ভাঙতেই ৫৪ রানের মধ্যে ইংল্যান্ড হারিয়েছে ৪ উইকেট। পরে ইনিংস ঘোষণা করেছে ৯ উইকেটে ৪৬৯ রান তুলে।
প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে ১ উইকেটে ৩২ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।