>কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা একটা চুক্তি থাকে বিসিবির। জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা এই চুক্তির বাইরে। এ চুক্তিতে এবার আবদুর রাজ্জাক, তুষার ইমরান, আবু জায়েদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেনকে নিয়ে বিশেষ একটা ক্যাটাগরি করা হয়েছে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকেই করেছেন সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি অভিষেকটা তো আরও দুর্দান্ত। ২০১৬ বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে আসাধারণ বোলিং করে চলে এলেন প্রচারের আলোয়। আফিফের ঝলক দেখা গেছে জানুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও।
যুব বিশ্বকাপে বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগেই দুর্দান্ত করেছিলেন আফিফ। বাংলাদেশ দলের মুখই হয়ে উঠেছিলেন রীতিমতো। প্রতিভা পরখ করে দেখতে গত ফেব্রুয়ারিতে আফিফকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্ত করলেন নির্বাচকেরা। ১৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অভিষেকে কোনো রানই করতে পারেননি। তবে বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আফিফ যে ভালোভাবেই আছেন, সেটি বোঝা গেল চুক্তির এই বিশেষ ক্যাটাগরি দিয়ে।
কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা একটা চুক্তি থাকে বিসিবির। এই চুক্তিতে আছেন ৭৭ জন। জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা এই চুক্তির বাইরে। তবে এই তালিকায় বেশিরভাগ ক্রিকেটারই মোটামুটি একটা অঙ্কের বেতন পান। সেটা কোনো মতেই ৩০ হাজার টাকার বেশি নয়।
এ চুক্তিতে এবার আবদুর রাজ্জাক, তুষার ইমরান, আবু জায়েদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেনকে নিয়ে বিশেষ একটা ক্যাটাগরি করা হয়েছে। এই পাঁচজনের বেতন নির্ধারিত হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। ১৮ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক ও তুষার ইমরানের স্বীকৃতিটা প্রাপ্যই ছিল। মোসাদ্দেক-আবু জায়েদও গত ছয়-সাত বছর ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ। জাতীয় দলে জায়গাটা ধরে রাখার লড়াই করছেন দুজনই। তবে প্রথমবারের মতো চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া আফিফের বেতন তুষার-রাজ্জাকদের সমান হওয়াটা বড় চমকই। বিসিবি বলছে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আফিফের মতো তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের আর্থিক সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কারা থাকছেন, কারা থাকছেন না, সেটি গত এপ্রিলেই জানিয়েছিল বিসিবি। বাদ ছিল শুধু ‘রুকি’ শ্রেণি। আগে তরুণ খেলোয়াড়দের রাখা হতো ‘ডি’ শ্রেণিতে, যাদের বেতন ছিল ১ লাখ টাকা। এবার ‘ডি’ শ্রেণির বদলে করা হয়েছে রুকি শ্রেণি। এই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন লিটন দাস, আবু হায়দার ও নাজমুল হোসেন।